চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩৩
ফেরার পথে আনমনে মোবাইলে তদ্ভবের ফোনে ফোন করে দেখে ফোন স্যুইচড অফ। একটু থেমে হোয়াটস অ্যাপে ম্যাসেজ করে রিক্তার মতো একটা সহজ সরল মেয়েকে নষ্ট করতে তোর লজ্জা করলো না, আমার ওপর তোর রাগ আছে, তার প্রতিশোধে তুই রিক্তাকে…. ছি ছি, ভগবান তোকে ক্ষমা করবেন না… বেশ কিছু কটুক্তি করে নেট অফ করে দেয় সুমেধা।বাড়িতে পৌঁছাতে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় লাগে। বাড়িতে পৌঁছে দেখে জোজো দেবাংশুর সঙ্গে বসে কার্টুন দেখছে, দেবাংশু সুমেধাকে বলে পরশু রোহনদের বাড়িতে যাবেতো?অফিসে জানিয়েছ ছুটি নেবে? সুমেধা: জানিয়ে দেবো, জোজোকে পড়তে বসাও। দেবাংশু: তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও, কফি বানাতে পারো।আমরা একটু পরে ঠিক পড়তে বসবো। সুমেধা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। ক্লান্তি কাটাতে ওপরে নিজের ঘরে ব্যাগ রেখে,বাথরুমে গিয়ে স্নান সেরে নেয়। কিন্তু চেষ্টা করেও তদ্ভবের কথা ভুলতে পারে না। বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে মোবাইলে নেট অন করে দেখে তদ্ভবের অনেকগুলো ম্যাসেজ।ম্যাসেজ ওপেন করে দেখে তদ্ভব লিখেছে, রিক্তাকে আমি নষ্ট করিনি,সেচ্ছায় ধরা দিয়েছে, সত্যি বলতে ঐ বারবার আমাকে ফোন করতো, তোর অফিস কলিগ তুই নিশ্চিত ওর স্বভাব জানিস, অনেক ছেলেকে ফাঁসিয়েছে আগে, তোরা মেয়েরা শুধু ছেলেদের পয়সা, অফিসে কোন পোস্ট বা কত বড় ব্যাবসা দেখে প্রেম করিস বা বিয়ে করিস, আসলে তোরা নীচ, আমাদের নিয়ে খেলতে পছন্দ করিস,খেলায় তো হারজিত আছে , আমায় ফাঁসাতে চেয়েছিল, হা হা, এখন নিজেই ফেঁসে গেছে।অনেকবার আমি হেরেছি তোর কাছে, এবার তুই বোঝ কেমন লাগে । ম্যাসেজটা পড়ে মাথার শিরা উপশিরায় যেন যন্ত্রণা করতে থাকে সুমেধার। নীচে থেকে দেবাংশু জোরে ডাকে কিগো কখন কফি বানাবে? সুমেধা দেবাংশুর গলা পেয়ে, নিজেকে সামলে ধাতস্থ হয়ে বলে হ্যাঁ,যাচ্ছি…