চাহিদা পূরণ – পর্ব ২৩
বাড়িতে ফিরে সুমেধা শাশুড়ি মার থেকে জানতে পারে পিসিমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয়েছে , দেবাংশু একটু আগে বেরিয়ে গেছে। সুমেধা ফ্রেশ হয়ে জোজোকে পড়তে বসায়। শাশুড়ি মা ওপরের ঘরে এসে বসেন। সুমেধা বলে আমাকে ডাকতে পারতে তোমারতো পায়ে ব্যাথা। গোমতী দেবী: না ঠিক আছে,একা একা ভালো লাগছিল না,আর তুমি পড়াচ্ছো,তাই আমি এলাম। আমার মনে হয় দেবাংশুর পিসির টেনশনে শরীর খারাপ হচ্ছে,তুমি একবার দেবাংশুকে ফোন করে দেখো। সুমেধা: আচ্ছা দেখছি। প্রথমবার ফোন রিং হয়ে কেটে যায়, আবার ডায়াল করে সুমেধা, দেবাংশু ফোন রিসিভ করে বলে এখন ঠিক আছে পিসি,প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল,সোডিয়াম, পটাশিয়াম কমে যাওয়ায় বডি একটু স্টিফ হয়ে যায়,ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথা বলছিলাম, কাল বিকালবেলা হয়তো ছেড়ে দিতে পারে,ও হ্যাঁ আমি এখানে থেকে কাল সকালে উড়িষ্যায় অফিসের কাজে যাবো। তুমি একটু অফিসে বলে রেখো রোহনের ঠাকুমার কাজে যদি একসাথে আসতে পারবো, আমি চার পাঁচদিন পর ফিরবো।ফোন স্পিকারে রাখায় শাশুড়ি মা বললেন চুরির ব্যাপারে কোনো খোঁজখবর পেলি? দেবাংশু: না,তবে কাল রাতে এখান থেকে কিছুটা দূরে হাইওয়ে তে একটা লাশ পাওয়া যায়, পুলিশ অফিসার জানান পুলিশের খাতায় লোকটার নাম আছে,এই চুরির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে,ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া থেকে খুন…..তবে পিসিকে এই ব্যাপারে জানতে দেওয়া হয় নি, শুনে আরো শরীর খারাপ হবে।আজ হেনা এসেছিল নার্সিংহোমে,হবু বৌমার সঙ্গে এখন ভাব হয়েছে দেখলাম। গোমতী দেবী: বাহ্, তবু ভালো, তুই সাবধানে যাতায়াত করিস, নিজের খেয়াল রাখিস। দেবাংশু : ঠিক আছে, রাখছি এখন।