জানলার প্রতি সম্ভ্রমে আমি
চারু ভিক্ষায় বাড়িয়ে দিলাম হাত।
কেউ কি সেখানে ছিলেন একাকী?
করতলে এল কমলা অকস্মাৎ।
ভাগ করে খাই মরশুমছুট
কমলার কোয়া, জিভে লেগে থাকে স্বাদ।
কার মাধ্যমে এল সওগাত,
হুটোপুটি খায় সে-কথা জানার সাধ।
বিস্ময় তার জাল ছুড়ে দ্যায়,
স্বরহীন ঘর বলে, কেন ভয় পাস?
কিসের সোহানা গন্ধ মেতেছে,
কোন কাননের পুষ্পের নির্যাস?
তত্ত্বে তথ্যে ভরপুর মন,
মনোসীমান্তে যুক্তি পাহারাদার,
প্রহরীর চোখে ধুলো দিয়ে কী-যে
ঘটে গেল দ্রুত, খুলল গুপ্ত দ্বার।
রাত্রি কি ঘোর কুহক ছড়ায়?
কাঁপে বারবার রহস্যময় চিক।
চৌদিকে কিছু ভস্ম উড়িয়ে
গেয়ে ওঠে গান পক্ষী অলৌকিক।
রুটির মতোই মুখে পুরে তাকে
চিবুই সহজে, সূক্ষ্ম শিল্প-কাজ;
হাতের চেটোয় বিস্মৃত পথ,
আঙুলে লগ্ন অভীষ্ট দুধরাজ।
আমার ভিক্ষা ফেলেছে ধন্দে,
সোফায়, শেল্ফে জাগে সমুদ্র-ঢেউ
দীক্ষা ব্যতীত কী করে আমিও
ভাসি নীল জলে, সেকথা জানে না কেউ।