চম্পু কাব্য কাকে বলে?
যে সব কাব্যে গদ্য ও পদ্যের আনুপাতিক হার প্রায় সমান সমান তাকে বলা হয় ‘চম্পু’কাব্য।
কবি কোন কোন সময় তার মনের সম্পূর্ণ ‘কাব্যিক ভাব’ পদ্যে প্রকাশ করতে অপারগ হয়ে পড়েন,
বাধ্য হয়ে সে নেয় গদ্যের আশ্রয়। তখন সে লিখতে বাধ্য হয় ‘চম্পু’কাব্য।
‘সিংহাদিত্য’ রচিত সংস্কৃত কাব্য ‘আর্যাবর্তবর্ণন’ (মহাভারত থেকে নেওয়া), এর উদাহরণস হলেও, বাংলা কাব্যে (গদ্য-পদ্য মিশ্রিত) ‘চম্পু’কাব্য-এর উদাহরণ নেই বললেই চলে। যা আছে তা নিছক গদ্যে কিংবা পদ্যে রচিত,গদ্য-পদ্য মিশ্রিত আঙ্গিকে নয়।
চম্পুকাব্যের একটা নিদর্শন –
মনোব্যথা
শংকর ব্রহ্ম
——————————
মাঝে মাঝে শূন্যতা এসে গ্রাস করে নিতে চায় সব
একা লাগে বড়,বুকের ভিতর ওঠে খাঁখাঁ করে
আমি সে শূন্যতা ভরাতে চাই
না পাওয়া যত ভালবাসা,মনে জড়ো করে।
আর তার নির্যাস ঢেলে দিতে চাই কবিতায়
সবটা পারি না পারি না দেখে
বুকের ভিতরে শুধু ছটফট করে,মন করে ওঠে হায় হায়
একা একা কষ্ট পাই মনের ভিতরে।
তবু জনে জনে ডেকে বলতে পারি না সে কষ্টের কথা,
তা জমে জমে পাথর হয়ে ওঠে মনের ভিতরে গাঢ় ব্যথা।
বাস্তব ও ভার্চুয়াল জগতে তবু বন্ধু আছে কত,
ক’জনের কাছে আর মন খুলে বসি অবিরত?