জীবনের পাকদন্ডী পথটা বড়োই এবড়ো খেবড়ো,
যতোই সরলীকরণ করতে চাই ততোই হিসেবটা মেলানো দুরূহ হয়ে পড়ে,
ঠিক যেন,সাপ- লুডো খেলার মতন,
যতবার জীবনকে মসৃণ সুচারু ছন্দে বাঁধতে চেষ্টা চলে,পরক্ষণেই ধপাস-
খেই হারিয়ে লেজে গোবরে বেহাল একেবারেই, ওফ্ এ যেন সেই অন্ধ কানাগলি,
যার শুরু তো আছে শেষ যে কোথায় কেউ জানেনা,
চলতে গিয়ে দেখি,যেখান থেকে শুরু আবারো ঘুরে ফিরে সেখানেই, যাহ্ বাবা!
গোলকধাঁধাঁ এক্কেবারে,
কখন যে একটু আলোর দিশা মিলবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই,
জীবনের অঙ্ক মেলাতে গিয়ে সর্ষেফুল চোখে,শুধু এটাই জানি,চলতে হবে,থেমে থাকার অবকাশ নেই,
চলার নাম গতি,আর গতিই তো জীবন, চরৈবেতি।
জন্ম থেকে মৃত্যুর আগ অব্দি তাই চলাটাই জীবনধারার আওতায়,
জীবন অনেকটা ঘড়ির মত,ঘড়ি যেমন টিক টিক করে চলতেই থাকে,থামলেই তো দম শেষ-
থেমে যাওয়ার বাহারী নাম- মৃত্যু।
জীবনের হিসেব মেলাতে গিয়ে কতনা কাটাকুটি খেলা,তবুও থামার উপায় নেই,
আপ্রাণ যুযুধান মনে জীবনের কিছু সুখ দুখের ফসল তো তুলতে চায় সকলেই,
হয়তো ,কারো কপালে ভালো ফল জুটে,কারো বা কপালটাই ছেঁদা,ফলে হিসেবের খাতায় শুধুই শূন্য আর শূন্য।
আসলে,জীবনের চাওয়া পাওয়ার ঝুলিতে সকলের ষোল আনা ভরে না,
মানুষ বড়ো বিচিত্র, কেউ অল্প পেলেই খুশি,আবার কেউ সব পেলেও তাঁর চাহিদার তৃষ্ণা মেটেনা,
জীবনটা যেন গোল্লাছুটের মতোই তাড়িয়ে বেড়ায় অনন্ত পিপাসায়- কি অদ্ভুত !