কেকদাদু (Cake Dadu) – গল্পের মাধ্যমে চিঠি
প্রিয় কেকদাদু
তোমার ঝোলাতে বাহারি কেক আছে?
ওই যে রকমারি স্বাদের রকমারি কেক। আমি তো খুব ছোট ।না বয়স হবে আঠাশ বা ত্রিশ।
কিন্তু আমি তো খুব ছোট চেহারার,তারপর এখনো বুদ্ধি নাকি আমার দিদির ছেলে র চেয়েও কম।জানো কাল দিদির ছেলে বলল মামু দুটো মোজা রেখো বালিশের পাশে দেখবে স্যান্টা দাদু ভ্যানিলা,চকলেট, ক্রিম নানান বাহারি কেক দেবে। আমারতো নুলো পা।মোজা কোথায় পাব।বড় সাইজের বাজারের থলিটা রেখেছিলাম।ভোর হবার আগেই ব্যাগটা হাওয়া। মাঝে মাঝে চোখ পিটপিট ছিল।কখন যে ব্যাগটা নিয়ে বাবা সবজি বেচতে চলে গেছে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কত কাঁদলাম।ভাগনের কাছে মুখ কি করে দেখাই বলুন তো।যদিও জানি দিদি তো বড়লোক ঘরে মাছের আড়তদারের সাথে বিয়ে হয়েছে।ভাগনে নিশ্চয় অনেক কেক পেয়েছে।মা বলল বাবা গাছের কুমড়ো বেচে ঠিক স্যান্টার সঙ্গে দেখা করবে! বাহারি কেক যদি শেষ হয়ে যায়! কিন্তু বিকেলে ও বাবা ফিরল না।রাত একটার সময় পুলিশের ঠকঠক লাঠির আওয়াজ। আপনাদের একবার আসতে হবে। মা আমাকে কোথায় রাখবে হঠাৎ আট থেকে আঠাশ হয়ে লিলিপুট উচ্চতায় গম্ভীর হয়ে বলি চলুন অফিসার।মর্গে গিয়ে বাবাকে দেখে চমকে উঠি।হাতে একটা ব্যাগ।স্যান্টা ব্যাগে রেখেছে তিনটি বাপুজি কেক। নিশ্চয় বাবা মা ও আমার। ছোট্ট ছোট্ট পাঁচ টাকা দামের বাপুজি কেক।এই বাহারি কেক গুলোতে চকলেট ,ভ্যানিলার কোন গন্ধ নেই উঁকি দিচ্ছে চালকুমড়া র মোড়ব্বা।
হঠাৎ চিৎকার করে বলি চাই না স্যান্টা বাহারি কেক। আমার বাবাকে এনে দাও।
এই চিঠিটা কেউ দাদু কে পৌঁছে দিও।আর বলো সবাই কেন টাকার অভাবে সব আনন্দে সামিল হতে পারে না।
ইতি তোমার
লিলিপুট
পুনঃ-মন খারাপ করো না।যার যেমন ক্ষমতা তেমন কেক কিনে আনন্দ করে খাও।