ভীষণ কুয়াশা চতুর্দিকে, কাছে দূরে সব কুছি
দৃষ্টির বাইরে, আছে শুধু
প্রবল হোঁচট খাওয়া। মনে হয়, ভেজা মাটি ফুঁড়ে
আসছে বেরিয়ে দ্রুত মানুষ সদৃশ প্রাণী, তবে
প্রকৃত মানব নয়। ওরা চন্দ্র, সূর্য, তারা
চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে, শীতার্ত, রোমশ অন্ধকারে ডুবে যাই।
আমার পাশেই ছিল জ্যোতির্ময়ী একজন, মন্ময় যাত্রায়
সমর্পিতা; যতই বাড়াই হাত, তার
হাত দূরে রয়ে যায় স্পর্শাতীত। মাটি কাঁপে, না কি
নিজেই টলছি খুব। গলা ছেড়ে ডেকে
ওঠার বাসনা তীব্র, অথচ হঠাৎ যেন হারিয়ে ফেলেছি
কণ্ঠস্বর; আমার জীবন আজ শব্দহীন ধু ধু আর্তনাদ।
শূন্যতাই চায় সারাক্ষণ
কখনও অস্ত্রের নাচ হয়ে,
কখনওবা অসংখ্য বৃশ্চিকময় খাদ রূপে, হায়,
আমাকে দখল করে নিতে। শূন্যতার দাঁত
আমার সত্তায় তীক্ষ্ণ বসে যায় বেলা অবেলায়। অকস্মাৎ
রোদ ওঠে, একটি কি দু’টি পাখি কাঁটাঝোপে
গান গায়, চোখ পড়ে নিজের জামার দিকে, এ কি!
সমস্ত শরীর জুড়ে কবরের ভেজা মাটি না কি?