বলতে পারো আমাকে সবাই কেন এত ডাকে!
যতটুকু সময় পাই আমি, শুধু কলম চালাই।
ভোরের বিহঙ্গরা নানান রবে আমায় ডাকে ,
নদীর জলের ছলাৎ শব্দ কর্ণপটহে অণুরনণ করে।
মেলিয়াস,ইনকাস,স্টেপিস যেন নানান ডাকের অপেক্ষায়―
সব ঋতুর নানান ফুলের সুগন্ধ আমাকে আবেশিত করে।
বাতাসে ভেসে আসে রঙীন সুগন্ধি ফুলের সুবাস,
পারাবারের বিশাল লহর ঘাড় উঁচিয়ে
ডাকে।
আমার স্হির মন ক্রমাগত চঞ্চলময় হয়ে ওঠে,
বাগিচার তিতলিরা ফুলবনে আমাকে ওড়বার জন্য ডাকে।
সন্ধ্যায় লক্ষ্মী পেঁচারা চিলেকোঠা ঘরের পিছন থেকে―
হুপ হুপ করে আমায় যেন ডাকতে থাকে।
বেতলার জঙ্গলের চিতাবাঘ যেন হালুম করে ডাকে,
জলদাপাড়ার গন্ডার, মাদারিহাটের হাতিরা কেবল ডাকে।
হলং এ বাবা-মার হাত ধরে ময়ূরের পেখম তুলে নাচ―
কর্কশ সুরে কেকা ধ্বনি আমাকে ডাকে ।
কেবল ডাকে না আমার আপনজনেরা―
সবাই যেন ভোর থেকে রাত অবধি ডাকতেই থাকে।
ওরা ডাকে বলেই তো প্রকৃতি এত আমার আপন―
ওদের ডাকেতো আমার ভালোলাগার কলম চলে।