ওয়েলসের কবি ডিলান টমাস
ডিলান টমাস, পূর্ণ নাম ডিলান মারলিয়াস থমাস্ তিনি ওয়েলস প্রদেশীয় কবি এবং লেখক যার কবিতার মধ্যে একটি হল “Do not go gentle into that good night (যে শুভরাত্রিতে মৃদুভাবে যেতে না)” এবং “And death shall have no dominion (এবং মৃত্যুর কোন কর্তৃত্ব থাকবে না)”;যেসকল গল্প ও নাটকে তিনি তার কন্ঠ দিয়েছেন Under Milk Wood(দুধের গাছের নীচে);এছাড়াও রেডিও সম্প্রচারেও তার কন্ঠ দেওয়া হয়েছে যেমন “A Child’s Christmas in Wales (ওয়েলসে একটি শিশুর বড়দিন)” এবং Portrait of the Artist as a Young Dog (একটি তরুণ কুকুর হিসাবে শিল্পীর প্রতিকৃতি)।
তার জীবদ্দশায় তিনি যতটা বিখ্যাত ছিলেন তার ঊনচল্লিশ বছর বয়সের অকাল মৃত্যুর পরও তার সেই খ্যাতি রয়ে গেছে । সেই সময় তার খ্যতি অর্জনের জন্য তাকে “ভীষণ, উন্মাদ ও ধবংসাত্মক কবি” নামে আখ্যায়ীত করা হয়েছিল। তিনি ঊনচল্লিশ বছর বয়সে নভেম্বর মাসে নিউ ইউর্ক শহরে মারা যান।
ডিলান টমাস সোয়ানসি ওয়েলসে (যুক্তরাজ্যের একটি অঙ্গ রাজ্য) এ ১৯১৪ সালে জন্ম গ্রহণ করে। একজন স্বনাম ধন্য বিশিষ্ট ছাত্র হিসেবে ষোল বছর বয়সে সে স্কুল জীবন শেষ করে এবং খুব অল্প সময়ে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হয়। তার অনেক লেখাই কৈশর জীবনে প্রকাশিত হয়েছিল কিন্তু ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত “লাইট ব্রেকস হয়ার নো সান সাইন্স” লেখনীটি সাহিত্যিক বিশ্বের নজরে পরে যায়।
যখন তিনি লন্ডনে থাকতেন ১৯৩৬ সালের প্রথম দিকে, টমাস বাইশ বছর বয়সী স্বর্ণকেশী, আইরিশ এবং ফরাসী বংশোদ্ভূত নীল চোখের নৃত্যশিল্পী ক্যাটলিন ম্যাকনামারা (১৯১৩-৯৪) এর সাথে দেখা হয়েছিল। সে তার বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন,এবং নাচের পেশা শুরু করেছিলেন এবং আঠারো বছর বয়সী লন্ডন প্যালেডিয়ামের কোরাস লাইনে যোগ দিয়েছিলেন। ক্যাটলিনের প্রেমী অগাস্টাস জন পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদের লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডের রথবোন প্লেসে হুইটশিফ পাবে প্রথম দেখা হয়েছিল। “ক্যাটলিন ম্যাকনামারা” সাথে পরিচয়ের পর তারা একসাথে কিছুদিন মেলামেশার পর ১৯৩৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল।১৯৩৮ সালে তারা লাহার্নে ওয়েলস ফিসিং গ্রামে চলে যায় এবং সেখানে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তাদের তিনটি সন্তান সহ দীর্ঘ দিন বসবাস করেন ।
টমাস তার লেখনীর মাধ্যমে অনেক কষ্টে আয়-উপার্জন করলেও তিনি জীবিত থাকতেই লেখক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন।তিনি ভ্রমণ কথ্য কাহিনী বেতার ব্রডকাস্টের মাধ্যমে তার আয় বাড়িয়েছেন। জনগনের মনযোগ বাড়ানোর জন্যে তিনি বিবিসি তে কন্ঠ দিতেন ১৯৪০ সালের দিকে এবং তাকে বারবার বিবিসি এর সাহিত্য দৃশ্যের একটি উপযোগ্য কন্ঠস্বর হিসাবে ব্যবহার করা হত।
টমাস ১৯৫০ সালে সর্ব প্রথম আমেরিকা যান। তার পাঠ্যক্রমগুলি তাকে খ্যাতির একটি সম্মাননা নিয়ে আসলেও, তার আসামাজিক আচরণ ও মদ্যপায়ী স্বভাবের কারণে তা নষ্ট হয়ে যায়। তার সময়ে তাকে আমেরিকার কিংবদন্তী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল যাইহোক তবুও তিনি ওয়েলসে বাচ্চাদের ক্রিস্মাস এ vinyl (বিশেষ একধরনের প্লাস্টিক) রেকর্ড করতে যেতেন। তার এই রকম চতুর্থ যাত্রা ছিল নিউ ইয়র্কে ১৯৫৩ সালে , সেখানে তিনি গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পরেন এবং কোমায় চলে যান, তারপর থেকে তার সুস্থ হওয়ার কোন লক্ষনই দেখা যায় নি। তিনি ৯ই নভেম্বর ১৯৫৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃতদেহ ওয়েলসে ফেরত আনা হয়।
১৯৫৩ সালের ২৫ নভেম্বর লাহার্নে সেন্ট মার্টিনের গির্জার ভবনের পাসে তাকে সমাহিত করা হয় ।
ডিলান টমাস সোয়ানসি জন্ম গ্রহণ করেন ২৭শে অক্টোবর ১৯১৪ , তার মা ফ্লোরেন্স হান্নাহ (née Williams; ১৮৮২–১৯৫৮) ছিলেন একজন দর্জী এবং বাবা ডেভিড জন টমাস (১৮৭৬-১৯৫২) ছিলেন শিক্ষক। তার বাবা ইংরেজিতে প্রথম – শ্রেণীর ডিগ্রি অর্জন করেন University College, Aberystwyth থেকে এবং তার ইচ্ছা ছিল স্থানীয় গ্রামার স্কুলে grammar school সাহিত্যের শিক্ষকতার মাধ্যমে তার অবস্থার উন্নতি করা। টমাসের একজন সহোদর ছিল যার নাম ন্যান্সি মারলিস Nancy Marles (১৯০৬-১৯৫৩) যে টমাসের থেকে আট বছরের বড়। পিতা-মাতা দ্বিভাষিক হওয়া সত্ত্বেও বাচ্চারা ইংরেজিতে কথা বলত এবং ডেভিড তাদের কে বারিতে ওলেসি শেখাতেন। “The Mabinogion” এর একটি চরিত্র “Dylan ail Don” এর অনুসারে টমসের পিতাই ডিলান নামটি রেখেছিলেন, যার অর্থ সমুদ্রের পুত্র। তার নামের মাঝের অংশ Marlais যা তার চাচা উইলিয়াম টমাসের নামানুসারে রাখা হয়। ডিলান নামটি ওয়েলসি ভাসায় ডালা-আন [ˈdəlan] (Dull-an) নামে উচ্চারণ করা হত যার জন্যে তার মা দুশ্চিন্তায় পরে যায় যে, কেউ যেন তাকে ডাল-ওয়ান (Dull-One) নামে ডেকে জ্বালাতন না করে। তার ক্যারিয়ার জীবনের ওয়েলসি বিবিসি Welsh BBC সম্প্রচারনার শুরুতেই তিনি তার নামের সঠিক উচ্চারণের অভ্যাস করে নিয়েছিলেন।টমাস অ্যাঙ্গেলাইজড উচ্চারণের পক্ষে ছিলেন তাই তিনি প্রথমেই নির্দেশনা দিয়ে দিতেন যে টার নাম ডিলান (Dillan).
টমাসের জন্মের কিছু মাস আগেই তার পিতা মাতা- ৫ সি ডব্লিউএমডনকিন রাস্তায় ৫ Cwmdonkin Drive লাল ইটের আধা-বিচ্ছিন্ন বাড়িটি (উপভূমিগুলির সম্মানজনক অঞ্চলের একটি) ক্রয় করেছিলেন এবং সেখানে টমাস তেইশ বছর বয়স পর্যন্ত বসবাস করেছিলেন।টমাসের শৈশব এর গ্রীস্মের ছুটিগুলি কেটেছে Llansteffan ল্যন্সটেফানে, এখানে টমাস এর মাতৃ সম্পর্কিয় আত্নীয় স্বজন ও ছয় প্রজন্মের বসবাস ও ফার্ম ছিল। তার মায়ের পরিবার, উইলিয়ামস, ওনফ্লাচলান, ললভিংউইন, ম্যাসগভিন এবং পেনকয়েডের মতো খামারে জীবিকা করতেন। টমাসের খালা/মামি আন জন্সের (Ann Jones) একটি দুগ্ধ খামার ছিল ফার্নহিলে সেখাঙ্কার স্মৃতি গুলিকেই ১৯৪৫ সালে কবিতার ভাষায় প্রকাশ করেন “Fern Hill”. নামক বইয়ের মাধ্যমে। টমাস শৈশবকালে ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানির সমস্যা ছিল এবং সারা জীবন এইগুলির সাথে লড়াই করেছিলেন। টমাস তার মায়ের দ্বারা প্রবৃত্ত হয়েছিল এবং মেয়েলি বালক স্বভাব তৈরি করেছিলেন, এটি একটি বৈশিষ্ট্য যা তিনি যৌবনে পরিণত করেছিলেন এবং তিনি এই দক্ষতার কারণে মানুষের মনযোগ ও সহানুভুতি অর্জন করতে সক্ষম হয়। টমাসের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় মিসেস হলি এর ডেম স্কু্লে dame school, যা মিরাডোর ক্রিসেন্ট এ একটি বেসরকারী স্কুল এবনফ যা ছিল তার বাড়ি থেকে কয়েকটা রাস্তা পরেই। অনেক আগেই খুব সংক্ষেপে তিনি তাঁর সেখানের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন –
‘আমাদের মতো কোনও নামী স্কুল আর কখনও ছিল না, এত দৃঢ় এবং সদয় এবং গালিশের গন্ধ ছিল, পিয়ানো পাঠের মিষ্টি ও বিড়বিড় ধোঁয়াটে সংগীতের সাথে একাকী স্কুলরুমে উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাস , যেখানে কিছুটা অপরাধের জন্য অনুশোচনা করতে হত – ভূগোলের সময় একটি মেয়ের চুল টানা, ইংরেজি সাহিত্যের সময় টেবিলের নিচে চতুর পায়ের খোঁচা।’
১৯২৫ সালে মাউন্ট প্লিজেন্ট Mount Pleasant, এ Swansea Grammar School স্কুলে ভর্তি হন যেখানে তার বাবা ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন। তিনি পড়াশোনাকে প্রাধান্য কম দিয়ে স্কুল বই এর থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য বই পড়তেন। তার প্রথম বছরেই স্কুল ম্যাগাজিনে তার একটি কবিতা ছাপা হয় এবং স্কুল ছাড়ার পুর্বে তিনি অই ম্যাগাজিনের সম্পাদক হয়ে গিয়াছিলেন। তার স্কুল জীবনের শেষ বছরে এসে তার নোট বুকে কবিতা লেখা শুরু করেন। তার প্রথম কবিতা লেখার টারিখ ছিল ২৭ এপ্রিল ১৯৩০ যার নাম ছিল “Osiris, come to Isis” । ১৯২৮ সালের জুন মাসে St. Helen’s Ground;সেন্ট হেলেন্স গ্রাউন্ড এ অনুষ্ঠিত স্কুল দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয় লাভ করেন এবং সেই জয়ের ছবি সংবাদপত্রে ছাপা হয় যা তার মৃত্যুর আগ পর্যন্তও তার সাথে ছিল। ১৯৩১ সালে যখন তার বয়স ষোল হয় তখন সে স্কুল ছেড়ে দেয় এবং সাউথ ওয়েলস ডেইলি পোস্টে South Wales Daily Post সাংবাদিকতার কাজ নেন। টমাস বেশ কয়েক বছর ধরে একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসাবে কাজ চালিয়ে যান, সে সময় তিনি সি ডব্লিউএমডনকিন রাস্তার বাড়িতেই থাকতেন এবং তার নোট বুক গুলি লিখতে থাকেন, ১৯৩০-১৯৩৪ সালের মধ্যে ৪(চারটি) বইয়ে ২০০(দুই শত) কবিতা যোগ করেন। ৯০ টির মত কবিতা অই বছর ই প্রকাশ করেছিলেন বাকিগুলি পরবর্তী বছর গুলিতে শেষ করেন।
তাঁর অবসর সময়ের জন্য তিনি মাম্বলিসের “Little Theatre” লিটিল থিয়েটার “আমাট্যুর ড্রামাটিক দলে যোগ দেন, আপ-ল্যন্ডে সিনেমা দেখতে যেতেন একাকী সোয়ান্সি সমুদ্র তীরে Swansea Bay হাঁটতেন এবং সোয়ান্সি পাব এ যেতেন বিশেষত মাম্বলিসের এন্টিলোপ ও মেরমেইড হটেল এ যেতেন । কারদোমাহ ক্যফে Kardomah Café, যা তার অফিসের পাশেই ছিল সেখানে তার সমসাময়ীক কবি ও বন্ধু ভারনন ওয়াটকিন্স Vernon Watkins এর সাথে পরিচয় হয়। লেখক, গায়ক ও শিল্পিদের দলকে “The Kardomah Gang” ” দ্যা কারদোমাহ গ্যাং” নামে জানত সকলে। ১৯৩৩ সালে টমাস সম্ভবত প্রথম বারের মত লন্ডন সফর করেছিলেন।
১৯৩৩-১৯৩৯ সালের মধ্যে টমাস তার কৈশোরে অনেক গুলি কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে বিখ্যাত হয়েছিল “And death shall have no dominion”, “Before I Knocked” এবং “The Force That Through the Green Fuse Drives the Flower” ।
১৯৩৩ সালের মে মাসে New English Weekly পত্রিকায় প্রকাশিত হয় “And death shall have no dominion” । যখন “Light breaks where no sun shines” কবিতা প্রকাশিত হয় The Listener দ্যা লিসেনার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে ১৯৩৪ সালে, তখন তিনজন স্বনামধন্য সাহিত্যিক এর নজরে পরেন তিনি। তারা হলেন T. S. Eliot, Geoffrey Grigson এবং Stephen Spender। তারা টমাসের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ১৯৩৪ সালের ডিসেম্বরে তাঁর কবিতা সমগ্র প্রকাশ করেন তাতে মোট ১৮টি কবিতা ছিল। প্রত্যেকটি কবিতা দূরদর্শী গুণাবলীর জন্য আলোচিত হয়েছিল এবং বিখ্যাত সমালোচক ডেসমন্ড হকিন্স লিখেছিলেন যে, এই কাজটি ছিল “এ’রকম বোমা তিন বছরে একবারই ফাটে”। কবিতা সামগ্রীটি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল এবং সানডে রেফারির দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিযোগিতা জিতেছিল, তার ফলে লন্ডনের কাব্য জগৎ সহ এডিথ সিটওয়েল এবং এডউইন মুর টমাসের মতোন নতুন অনেক প্রশংসক(fans) জুটেছিল। ফোরচুন প্রেস দ্বারা ( এক প্রকার অহংকারী প্রকাশক যে তার লেখকদের অর্থ প্রদান করেন না বরং লেখকরা নিজেরাই একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকাশিত বই কিনতে বাধ্য হত) এই কাব্য-সঞ্চয়ন প্রকাশিত হয়েছিল।
ফিলিপ লারকিন সহ অন্যান্য নতুন লেখকদের একই পথে চলতে হত। ১৯৩৫ সালের সেপ্টেম্বরে, টমাসের সাথে দেখা হয় ভার্নন ওয়াটকিন্সের এবং এক আজীবন বন্ধুত্বের নতুন অধ্যার সূচনা হয়েছিল। সেই সময়ে ওয়াটকিন্স লয়েডস ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন এবং একদিন টমাস তার বন্ধুদের সাথে ওয়াটকিন্সের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, যারা এখন ‘দ্য কারডোমাহ গ্যাং’ নামে পরিচিত। সেই দিনগুলিতে, টমাস প্রায় প্রত্যেক সোমবারে টম ওয়ার্নারের সাথে সিনেমা দেখতেন, যিনি সম্প্রতি ওয়াটকিন্সের মতো স্নায়ুবৈকল্যে ভুগছিলেন। সিনেমা দেখার পর, ওয়ার্নার টমাসকে নিয়ে রাতের খাবার খেতেন তার কাকিমার সাথে। একদিন, যখন তিনি একটি সিদ্ধ ডিম পরিবেশন করেন টমাসকে, সে জানত না কীভাবে এটি কেটে খেতে হয় তার ফলে কাকিমা তার জন্য এটির উপরের অংশটি কেটে ফেলে দিযে ছিলেন। আসলে সারা জীবন টমাসের মা সব কিছু করে দিতেন সে কিছুই জানতেন না, মা এর ভালবাসার এর থেকে বড় উদাহরণ কি হতে পারে। কয়েক বছর পর, টমাসের স্ত্রী ক্যাটলিনকেও তাঁর জন্য ডিম প্রস্তুত করে দিতেন। ১৯৩৫ সালের ডিসেম্বরে টমাস দ্বি-মাসিক নতুন শ্লোকটির ১৮ ইস্যু “দ্য হ্যান্ড দ্যাট হ্যান্ড দি পেপারে” কবিতাটি অবদান রেখেছিলেন। ১৯৩৬ সালে, জে.এম.ডেন্টের দ্বারা প্রকাশিত তার পরবর্তী পঁচিশটি কবিতাও বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। সব মিলিয়ে লন্ডনে যাওয়ার আগে সিডএমডনকিন ড্রাইভে থাকাকালীন তিনি তার অর্ধেক কবিতা লিখেছিলেন। সেই সময় তাঁর অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য টমাসের খ্যাতি বৃদ্ধি পেয়েছিল। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মতো।