বিকেল বেলায় হাঁটছি পথে আপন মনে একা একা
একটু দূরে একটা নেড়ি সঙ্গে কিছু কচি কাঁচা ।
নেড়ির সাথে খেলছে যারা পথের শিশু ওদের নাম
গায়ে ওদের খড়ি ওঠা তেলের যে আজ বড্ড দাম ।
মা বাপটা হয়তো কোথায় ব্যবসা করছে নয়তো ভিখ্
দুধের শিশু দিদির কোলে উস্কো চুলে হাসছে ফিক ।
দিদির চুল জট পাকানো শীর্ণ মলিন গায়ের বেশ
পাচ্ছে যে টা খাচ্ছে না তা বোনের খাওয়া হচ্ছে শেষ ।
দিদির বয়স পাঁচ বড়জোর কোলের শিশুর বয়স দেড়
বোনের খাওয়াই দিদির খাওয়া বলছে যেন “এটাই ঢের”…
মা বাপটা আসবে কখন জানি না তা দেখছি ঠায়
ছোট্ট দিদি মা যেন তার কাঁদছে বিধি বলছে হায় !
অল্প বয়স তবুও দিদির অভিজ্ঞতায় কোমরে বাঁক
শুনছো ঠাকুর প্রার্থনা তাই “ওরাও একটু খাদ্য পাক” ।
পোষাক আশাক পাচ্ছে ওরা বিকছে সে সব টাকার লোভ
তাই বলছি খাদ্য খেয়েই ওরাও একটু খুশিই হোক।
জ্ঞানের আলো শিক্ষা-দীক্ষা বড্ড ভারী ওসব কথা
পেট ভরলেই মনটা খুশি ভুলবে হয়তো মনের ব্যাথা !
দিদির বয়স দশ পেরোলেই কারোর শিকার নয়তো যোশ
বাতির তলা লাশ কাটা ঘর ঠিকানা বদল কারণ রোষ !
এই দুনিয়ায় আজব নিয়ম অন্যায়টাই চলছে আজ
প্রতিবাদে হয় না কিছুই জ্যান্ত দগ্ধ সবার মাঝ !
প্রতিবাদও হারাচ্ছে তাই বিবেকহীনের প্রাচুর্য
মনুষ্যত্ব লুক্কায়িত বাতিল শব্দ শৌর্য !