আমাকে কেউ চিনতে চাইল না
আমাকে কেউ বুঝতে চাইল না
আমাকে কেউ জানতে চাইল না,
আমার বোধ;
আমার চিন্তা;
আমার সত্তাকে ওরা ফেলেছে মারিয়ে।
সেজেছিল ওরা মহানেতা
সেজেছিল ওরা অভিনেতা
একা একা কেঁদেছিল আমার ব্যাকুলতা,
অজানা রূপরেখায় তারা হেঁটেছিল
তারা হেঁটেছিল অভিশাপ গায়ে মেখে
নিদারুণ দেবতারা লিখে রেখেছিল প্রমাণ তার চাক্ষুষে।
পৃথিবী কেন ছোটে গ্রহে?
আমি ছুটি জ্ঞান ভান্ডারের সমারোহে,
নিত্তনৈমিত্তিক কর্মেরা পিছে ধায়
অগ্রজ সিম্ফনি স্ফুলিঙ্গের মত বেজে যায়,
ক্রমিক সংখ্যা দূর হতে নেয় বিদায়।
নিয়েছিল বিদায় চেতনার আকাশ
উরুষ দেবতার দল মিথ্যে কামনার ঝড় তুলে এনেছিল সুবাস,
সুভাষিত আলোচনায় এই মন ভাসে নি যে
কম্পিত বক্ষের নব কোন ভাবনায় কোন কথা ওঠেনি যে,
আজ আর পৃথিবীর মায়ার ছায়ার কথা ভাববো না
বনলতা,তোমার ছবি আমার স্মৃতির পাশে আর আমি রাখবো না।
ভেঙে ফেলে দেবো পল্লীমঙ্গলের সকল উচ্চস্বরের শঙ্খ ধ্বনি
ছিড়ে ফেলে দেবো মাঠের ‘পরে ঝরে যাওয়া সব পাতাদের মায়া
কেন ভাঙবো না?
কেন ছিড়ে ফেলবো না?
উত্তর একটাই——
আমাকে তো কেউ চিনলো না।