একদিন তোমার থেকে অনেক দূরে
চলে যাবো ;
তারা যেমন খসে পড়ে আকাশের বুকে,
যেমন শীতের কুয়াশা মিলিয়ে যায় সূর্যের
প্রখর উজ্জ্বলতায় ঠিক সেইভাবেই !
কোন এক পারিজাত রমনীয় মুখ
ভেসে ওঠে আমার সব দেখার মাঝে!
কবে যে তাকে প্রথম দেখি মনে করতে পারিনা!
তখন কি ছিল বসন্ত বাতাস নাকি
কৃষ্ণচুড়া, রঙ্গন আলোকের রক্তরাগ?
কিংবা বর্ষণসিক্ত বিরহী দিন –
ফুটে ছিল কি কুন্দ,কামিনী আর কদম?
মনে করতেই পারছি না…
সূর্য যখন রেশমী রুমালে মুছে দেয়
পৃথিবীর জলভরা চোখ –
আমার রক্ত কণিকায়,
তখনই কি তার পদক্ষেপ!
সে তবে কি নিবিড় সঞ্চারণ,
জীবনের অন্য বিষয়,
অন্য কুশল,অন্য প্রত্যাশা?
প্রশ্নরা ভীড় করে আছে…
যেদিন চলে যাবো তোমার থেকে –
দূর কুয়াশায়।
যেদিন মৃত্যু এসে আলিঙ্গন করবে আমায়।
সেদিন দুঃখ ক্ষোভ আর কিছুই থাকবে না!
সেই পারিজাত রমণী তার নিবিড় ছন্দে বাজিয়ে ছিল আমায়,
আমাকে দিয়েছিল তৃপ্তি;
যখন আমি আজ ঘাসের বুকে শুয়ে
তার সান্নিধ্যের কথা মনে করার
চেষ্টা করি – সে তখন লাল পাড় শাড়ীতে, পাকা ধানের মত এলোকেশী চুলে কামরাঙ্গার রং নিয়ে দাঁড়ায় এসে আমার সামনে!
নির্বাক আমি তার রূপ মাধুর্য দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ি চির নিদ্রায়।