একটা অলস দুপুর বয়ে চলেছে,,,,,
রুম ঝুম শব্দে স্মৃতিরা উড়াল দিচ্ছে ব্যস্ত মস্তিষ্কের অলিতে-গলিতে,,, অরক্ষিত জানালার পর্দার আড়ালে বৃষ্টি ছুঁয়ে যাচ্ছে একটা বিষন্ন মন,,,,
জানো নীরা,
কয়েক ঘণ্টা আগেই উল্কাপাত হলো,
একটা স্বপ্নের মৃত্যু হল নীরবে,
নিকোটিনের ধোঁয়ায় ভরে উঠলো সাজানো স্বপ্নশহর,
ধ্বংস হলো কত ভাবনার বিক্ষিপ্ত বালিয়াড়ি, কতশত কল্পনার চড়াই-উৎরাই।
শেষ হলো বেনামী উপন্যাসের এক অধ্যায়।
ভীষণ এক তৃষ্ণায় মরুভূমির বুকে খালি পায়ে হেঁটে চলা স্বপ্নের সীমান্তে, কিছুটা নিঃশব্দে,
এক বেহায়া সময়ের স্রোতে সকলের অলক্ষ্যে পড়লো ঝরে একটা ভাঙা হৃদয়।
নীরা, তুমি পাচ্ছো কি শুনতে সেই হৃদয় ভাঙার শব্দ ?
মৃতসঞ্জীবনীও আজ বেমানান,
সেই ভাঙ্গা টুকরোগুলো চেয়েছিল ইচ্ছে ডানায় ভর করে একমুঠো জোনাকীর রোশনাই শরীরে মেখে অনন্ত নীলাকাশের নীল ছুঁতে স্বপ্নের শহরে সাজানো পণ্যের ভিড়ে।
চেয়েছিল ঘৃণা আর অন্ধকারের অর্বাচীন দেয়ালের বাইরে পা ফেলতে,
রোজনামচার বন্ধ্যা অনুভূতির বাইরে এক জীবন্ত জীবাশ্মে আজীবন ডুবে থাকতে,
কিন্তু বারান্দার রেলিং-এ চোখ দিয়ে দেখলাম,
আকাশের আজ মুখ ভার, তোমার কালো গহীন চোখে জমা রাখা আমার ইচ্ছা-বিলাস স্বপ্নগুলো চৈত্রের বেসুরো এক ধূলিঝড়ে সশব্দে আছড়ে পড়েছে নিরুত্তর এক নিশীথ নীরবতাকে বিদীর্ণ করে নক্সীকাঁথার ওমে।
স্পন্দনহীন মেকি স্বপ্নগুলো সুসজ্জিত চিতার আগুনে সাজিয়ে মৃত শবের গোপন গন্ধ চুরি করে আমি আজও বাঁচি মৃত্যুর কোলে।
নীরা,তুমি কি দেখতে পাও আমার বেঁচে থাকা ?
পারিনি আমি অস্তমিত সূর্যের মত হতে,,,,
যে, নতুন ভোরের আলো গায়ে মেখে, সোনালী রোদ বুকে জড়িয়ে আদিগন্ত বিস্তৃত লোনা বালুচরে নতুন এক ঝংকারে আলোড়িত করতে পারবে কোন রিক্ত হৃদয়।
পারিনি আমি জুঁই-চামেলী-বেলী ফুলের ঘ্রানে মগ্ন থাকতে,
তোমার রঙিন শাড়ির হলুদ পাড়ে দেখেছি কতো ঋতুর প্লাবন,
ভর দুপুরে তপ্ত আগুন ছুঁয়ে মেতেছি কতো হোলি খেলায়,
নিয়েছি কতো শপথের বৈধতা।
আজও দুপুরেরা আঁচড় কেটে যায় অবৈধ আহবানে,
জ্বলছি আজও ভিন্নভাবে দুর্বিনীত স্মৃতির কার্নিশ ছুঁয়ে।