যখন জীবন জুড়ে কালো অমানিশা
ব্যথার ডিঙিতে চড়ে খুঁজি নব দিশা
দূরের দিগন্ত পানে চেয়ে অজানায়
মুক্তির আশাতে বেগে চলি অসহায়।
কতশত উপেক্ষিত বসন্ত পেরিয়ে
ধূসর মলিন হৃদি আত্মগ্লানি নিয়ে
বিধাতাকে সাক্ষী রেখে একাকী অবাধে
নির্জনের মৌন পথে চলে নির্বিবাদে।
নিরুদ্দেশে মুহূর্তের মায়াবী আঁচলে
মনের আবেগে ছুটি শান্তি পাবো বলে।
দুরাশার বালুচরে ঘুরে ফেরা শুধু
ব্যথার ডিঙায় বসে দেখি মরু ধূধূ।
সন্ধ্যার তারার সাথে ভাব বিনিময়
জীবন সায়াহ্নে হয় সখ্য অতিশয়
আলোর মায়ায় হই স্বপনে বিভোর
যদি অমানিশা কাটে নিশি হয় ভোর।
অন্তরেতে স্মৃতিদের অফুরান ঢেউ
ব্যথার পাথারে রাজে বোঝেনা যে কেউ
অভিযোগ নেই কোনো থাকি মূক হয়ে
নীরব নিশ্চুপ ভাবে চলি সব সয়ে।