যদি ভাবিস আমি পদানত,দাসীত্বের বন্ধনে আবদ্ধ,
যদি ভাবিস আমি তোর বাঁদি,শুধুই শয্যাসঙ্গিনী,
যদি ভাবিস আমি দুর্বল, অসহায়-
তবে জেনে রাখ তুই মহামূর্খ এ ধরাতলে।
নারী কামিনী, নারী শঙ্খিনী, রণচন্ডী,মহাসর্বনাশী
নারী মহামায়া, নারী জন্মদাত্রী, নারী জগতের আদিশক্তি।
সৃষ্টি, লয়, আদি,অন্ত ,আমিই ব্যাপ্ত দশ দিগন্ত,
নারী মহাশক্তি রুপিনি এ পৃথিবীর রক্ষাকারী ।
আমিই গর্ভধারিনি মা,আমিই স্নেহময়ী করুনা ,
আমিই মাতা,কন্যা,ভার্যা স্তন্যদায়িনী জীবের রক্ষাকত্রী।
তুই মহাপাপি,মহামূর্খ তাই জঠরে মারিস লাথি-
যে যোনি কামনায় করিস ক্ষত,বিক্ষত –
সেই মহাযোনিতে তোর সৃষ্টি।
আমি শশী – যামিনী, আমি মুন্ডমালিনী
মাটির ডেলায় আমিই কালিরুপিনী –
খাঁড়া হাতে আমিই বিশ্বজননী,রক্তবীজ ঘাতিনি
আমিই মহাবিশ্বের সৃষ্টি,আমি স্তন্যদায়ি মহাদেবে এনে-
বিষহরি নীলকণ্ঠে,আমিই ছিন্নমস্তা আপন রক্তপানে ।
আমিই স্নেহময়ী, কোলে তুলে ধরি সন্তান স্নেহে,
ক্রোধে উন্মত্ত রণচন্ডী, বিদ্রোহিনী প্রতিটি নারীর দেহে।