সময় আমার চায়ের কাপে চুমো খায়!
স্মৃতির ক্যাকটাস বসায় থাবা চোখের পাতায়, ,
হাজারো ক্যাকফোনির মাঝে…
ইচ্ছে করছে আজ আবার অবেলায়;
তোর সেই বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর দিনগুলো
নতুনভাবে উস্কে দিই ঘষামাজায়…;
প্রতিবাদের বলিষ্ঠ সেই শব্দগুলো
অবলীলায় সব ভুলে গেছিস —
হাফ-গেরস্ত গোলকধাঁধায় পথ হারিয়ে
প্যাট্রিশিয়ানদের মতো অর্থহীন ছুটছিস !
চলতে চলতে সমাজতান্ত্রিক ভাবনাগুলো
এখন তোর কাছে খুব বিলাস ঠেকে!
স্যুটেড বুটেড ঠৌঁটের কোণে দামী সিগারেট
হ্যাঁ, তোর নতুন গাড়ির নাম যেন কী?
বুর্জোয়া-প্রোলেতারিয়েত নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে
আসন্ন বিপ্লবের কী ঝড়টা-ই না তুলতিস!!
মোটা ফ্রেমের কাঁচের ভেতর বুদ্ধিদীপ্ত চোখজোড়া
সবার মতো আমাকেও খুব টানতো —
বেশ আকর্ষণীয়!
তারপর…
কখন যেন মিটিং ভেঙে, সব চুকিয়ে
হঠাৎ তুই হারিয়ে গেলি কোথায়?
বহু খুঁজেছি তোকে-
শুনলাম; তুই ইউরোপ চলে গেছিস,
অবাক-ই হয়েছিলাম এই ভেবে…
স্বপ্নও কী ভাড়া পাওয়া যায়?
তবুও, ছিলাম মনের কোণে আশার অপেক্ষায়,
আজ যখন সামনাসামনি;
তোর দু’চোখে বিপ্লবের স্বপ্নগুলো কোথায়!
নাহ্ থাক —
আমার অজান্তেই ঠোঁটের কোণে
বিদ্রুপের হাসি খেলে যায়;
এক মধ্যযুগীয় গণ্ডীবদ্ধ,
উৎপাদনের প্লিবিয়ানকে দেখলাম!..
পাশ কাটিয়ে চলতে চলতে ভাবছিলাম —
ভালোই হয়েছে তুই হারিয়ে গেছিস;
মাৎস্যন্যায়ের বশংবদ ছায়ায়।
দ্রুত পা চালাই,
মিছিল যে এগিয়ে গেছে অনেকটা-ই.…