ভাষার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারী আর উনিশে মে,
কতো যে শহীদ হয়েছে তার এখন হিসাব রাখে কে!
তবু ভাষা শহীদেরা বলে যায় কানে কানে প্রতি নিশি যামে;
এনেছি মাতৃভাষার সম্মান দিয়ে প্রাণ জন্মভূমির নামে।
আমার মায়ের ভাষা বাংলা-তাই নিয়ে করি গর্ব,
রবি-নজরুলের অবদানে সে মান কেউ করেনা খর্ব,
শ্রুতিমধুর বাংলা ভাষা বিদেশেও শুনতে লাগে অপূর্ব;
বাংলা ভাষায় খুঁজি না দিশা উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম বা পূর্ব।
বাংলায় বিশ্বকে আজ দেখি অবলীলায়,
বিভিন্ন দেশের কৃষ্টি এখন এই বাংলায়,
তবু আজ বঙ্গ সংস্কৃতি বুঝি অধরা প্রায়;
ইতিহাসের পাতায় দূরবীনে খুঁজতে হয়।
স্বামী বিবেকানন্দ, রাম মোহন ও রবিঠাকুর,
একদিন ধরেছিলেন বিশ্বে বাংলার মুকুর,
অনন্তর বাঙালি প্রাপ্ত বিবিধ নোবেল পুরস্কার-
প্রাপ্তিতে বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছিল মুখ বাংলার।
বিশ্বে অগণিত ভাষার মধ্যে বাংলার সপ্তম স্থান,
অনুভবে আস্থায় বাড়িয়েছে বাংলার সম্মান,
তবু প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এই ধারাবাহিকতায়,
পাশ্চাত্যের সংস্কৃতিই এ প্রজন্ম এনেছে বাংলায়।
বাংলা ভাষার জন্য একদা গিয়েছে অগণিত প্রাণ,
এখনো প্রবাসী বাঙালিদের চলছে বাংলা সংরক্ষণ,
অনুবাদের দুনিয়ায় তো চলছে সবিশেষ পর্যবেক্ষণ;
অথচ স্বদেশে এই প্রজন্মই নিচ্ছে ইংরাজি প্রশিক্ষণ।
আত্মসম্মান ও আত্মত্যাগের হলে জাগরণ,
বাংলায় বিশ্ব,বিশ্বে বাংলা পাবে আরও সম্মান,
রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ ও অতুল প্রসাদ সেন,
তাঁদের বঙ্গ সংস্কতি আজও বঙ্গ হৃদয়ে অম্লান।
বহু রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অর্জিত আন্তর্জাতিকতা,
হারানো যাবে না তাই চাই সার্বিক সচেতনতা,
বিশ্বস্তরে পৌঁছাতে হবে বাংলা ভাষার ঐতিহ্যের বার্তা;
তবেই বাংলায় পাবো বিশ্বকে,বিশ্বে বাংলা হবে বন্দিতা।।