সমাপ্তি পর্ব
রাত হয়ে গিয়েছিল । নতুন মা আর আম্মা হাতে হাতে রাতের খাবার করে নিল । ঠিক হ’ল পরের দিন সকালে নাস্তা করে আমরা ফেরত যাব । ছোট্ট ঘরটাতে আমি আম্মা আর নতুন মা শুয়ে পড়লাম, মামা চাচার সঙ্গে কোন এক স্কুল বাড়িতে শুতে গেল ।
পরের দিন সকালে রুটি তরকারি খেয়ে বিদায় নেবার পালা এল । নতুন মা তো আমাকে ছাড়বেই না , আম্মাকে বলল
– বহিন আমার তো কোল খালি এই ছেলেটাকে তুমি সাবধানে রাখবে , আর যেন পালিয়ে না যায় ।
আবার কান্নাকাটির পালা । আমরা বেরিয়ে পড়লাম । নতুন মা আমাকে জাপ্টে ধরে অনেক আদর করে হাতে একশ টাকা দিলেন । আম্মা হুকুম দিল – পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে । আমি অবাক, ইসলামে তো আল্লা বাদে ইবাদত্ করার নিয়ম নেই , আম্মার হ’ল কি ।
আমরা গলির বাইরে এলাম , নতুন মা গলির মুখে দাঁড়িয়ে চোখ পুঁছছেন । আমার মনে হ’ল ইনিই আসল দূর্গা ।
তোমরা যারা লাখ টাকা খরচ করে পুজো কর , তোমরা মানুষের পুজো করতে শেখ । মানবতার থেকে বড় ধর্ম আর কিছু নেই ।
আমার নতুন মা-ই – আমার দূর্গা ।
সুন্দর লেখা। কয়েকটি ব্যাপার মন ছুঁয়ে যায় তবে আমার
মনে হয় যে যার ধর্মটিকে সম্যক দূরত্বে রেখে যদি শুধু
মানবিক মন নিয়ে সমাজটাকে দেখি, তাকে উপলব্ধি করি,
আরও বেশি স্বচ্ছ ও সুন্দর হয়। আরও বেশি পবিত্র ও
গ্রহণীয় হয়। ভালো লেখা শ্রদ্ধেয়। এভাবেই কলম এগিয়ে
যাক নিরপেক্ষ ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে। শুভেচ্ছা তো থাকলই।
নম্রতায়-
” যাযাবর……. “
খুব সুন্দর বক্তব্য। প্রাণিত হলাম।
অসাধারণ মুগ্ধ সৃজন। বিভেদকামী ধর্মের চেয়ে মানবিক মূল্যবোধের ও এবং চেতনার গুরুত্ব অপরিসীম। মনুষ্যসৃষ্ট তথাকথিত ধর্মের সুড়সুড়ি কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের আখের গোছানোর অন্যতম কৌশল।
সুস্থ সামাজিক এবং সাম্যের গান ধ্বনিত হোক প্রতিটি মানুষের অন্তরে। চলুক কলম।
একদম ঠিক কথাই বলেছ। বিভেদকামী শক্তিদের চিহ্নিত করে নিজেরাই পারি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সমাজে মৈত্রী ও সম্প্রীতির বাতাবরণ গড়ে তুলতে।