আমি বিধাতার কাছে একটা একান্নবর্তী পরিবার চেয়েছিলাম।
আমি চেয়েছিলাম ভালোবাসা দিয়ে সবাইকে বেঁধে রাখতে।
আমি চেয়েছিলাম ,সাম্যের মন্ত্রে মানুষের সাথে আত্মীক বাঁধন গড়ে তুলতে।
আমি চেয়েছিলাম সৌহার্দের ,প্রীতির পথে হেঁটে বেড়াতে।
আমি চেয়েছিলাম, সাহিত্যের অঙ্গন কাব্যের ফুলে ফুলে সুশোভিত করতে।
আমি চেয়েছিলাম প্রভাত পাখির পবিত্র কোলাজে কবিতার পঙতি লিখতে।
আমি চেয়েছিলাম সকল বিষন্নতাকে আড়াল করে শিউলি হাসি ছড়িয়ে দিতে।
আমি চেয়েছিলাম যা তার অনেকটাই কিন্তু পাইনি।
একান্নবর্তী পরিবার পেয়েছি– ভেঙে গেছে বিষয়ের বিষে।
ভালোবাসা দিতে দিতে ক্লান্ত ,কাউকে তেমন করে বাঁধতে পারিনি।
সাম্যের পথে কতটুকু আত্মীক বাঁধন গড়তে পেরেছি সেটাও ভবিষ্যত বলতে পারে।
সৌহার্দ্যের,প্রীতির পথে হাঁটতে গিয়ে পায়ে কাঁকর বিঁধেছে হোঁচট খেয়ে,তবু হাঁটছি।
সাহিত্যের অঙ্গনে ফুল তো ফুটেছে,সুবাস কতোটা ছড়ালো জানাই হয়নি এখনো।
তবে ,প্রভাত পাখির কোলাজে পঙতিরা কাব্যগ্রন্থে সমাহিত।
আর ,বিষন্নতার আড়াল ভেঙে শিউলি হাসি ছড়িয়ে যাবোই আজীবন।
এইটুকুই বিধাতার দরবারে আমার সামান্য চাওয়া।