জন্মের উষাকাল থেকে আমৃত্যুকাল অগুনতি মানুষ হেঁটে চলেছে অন্তবিহীন পথে। কিসের টানে,এই খোঁজ আর পথ চলার নামই কী জীবন?
অথচ রাতের তৃতীয় প্রহরে অন্ধকারের গর্ভে কখন আলোর বীজ নিঃশব্দে রোপিত হয়ে যায় মানুষ টেরই পেলো না কোনদিন!
শিশুর কোমল হৃদয়, কিশোর কিশোরীর প্রাণের সরল উচ্ছ্বলতা,নারী-পুরুষ
শরীরের দোরে দোরে হাত পেতে ঘুরে ঘুরে পথ চলার নামই কি জীবন!
কতো পথ! “যতো মত তত পথ!” পথের শেষ কোথায়? কি আছে ওই পথের শেষে!
মাঠ পেরিয়ে শ্রাবণের ঘন কালো মেঘের মতো শালবন পেরোবো!
তারপর? আরো অনেক বনানী, নদী,নালা, বিন্ধ্যপর্বত পেরিয়ে, সব পাহাড়,সব মাঠ পেরিয়ে যাবো!
তারও পর যদি না পাও?
সব পথ ছেড়ে সহজ পথ বেছে নেবো। ভালোবাসার পথে হাঁটবো।
ভালোবাসা পেলে অন্য পথে যাবো কেন? যদি হোঁচট খাও? নিরাশ্রয় হও! পাহাড়ের বুক থেকে গড়িয়ে পড়ো?
তবে মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকবো। দীর্ঘ পথ চলার পর, আরও একটু পথ চলতে বাকি আছে ভেবে ভৈরবী রাগের আরোহ থেকে অবরোহ, পকড়ে নেমে আসবো।
একটা যতি চিহ্ন এঁকে দিয়ে,সুরের মূর্ছনায় ভেসে যাবো ভেসে যাবো!!