সেই শৈশব পেরোতেই যেদিন থেকে চোখ প্রকৃতি আর মানুষের বাইরে যুক্তি, আত্মসম্মান দেখতে শিখেছে সেদিন থেকেই দেখে আসছি মায়াবী পৃথিবীতে ছেড়ে যাওয়ার খেলা। দেখে আসছি বন্ধুত্বে ঠাট্টা করার নামে অপমান করার ছল-চাতুরী। তবে জীবনের ঠিক পরের অধ্যায়টা থেকেই বুঝতে শিখেছি, কারোর পাঁচটা ম্যিসডকল দেখে কলব্যাক করি বা নাই করি, জন্মদিনে রাত বারোটায় উইশ করি বা না, সারাদিন নিয়তির যাঁতাকলে পিষেও কিছুটা সময় বের করে কারোর জন্য রাখতে পারি বা না, সবাই কোনো না কোনোদিন, কোনো না কোনো অজুহাতে ছেড়ে যাবেই।
তাই আর ইচ্ছে করেনা ভিড়ের মাঝে কাওকে খুঁজতে, ইচ্ছে করেনা রাত-বিরেতে দলবল নিয়ে ঘুরতে যেতে।
আমরা যারা একা থাকতে ভালোবাসি, আমরা শিখে নিয়েছি ২ কিমি হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছনোর পথে নিজেকে খুঁজে নিতে, আমরা শিখে নিয়েছি ফুটপাতে নিজের জিনিসটার দরদাম করতে, আমরা পারি নিজের প্রিয় খাবারটা নিজেই বানিয়ে খেতে, একা একাই..
ঠিক এর মাঝেই কখনো পাহাড় ডাক দেয়, কখনো সমুদ্র, তবে পাহাড়ের একাকিত্ব যে আমাদের মতই, তাই পৌঁছে যায় তার ডাকে। তার উচ্চতম জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আমরা একটা গোটা আকাশ নিয়ে অপেক্ষা করি, সূর্যাস্তের।
ঠিক তার’পরের ওই স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকারটায় শুনি, পাহাড়ের চিৎকার,
“আমরা যারা একা থাকতে ভালোবাসি, আমরাও একদিন সংসার করবো; কেমন?”
যদিও কেউ কোনোদিন সারা দেয়নি।