নারাজ মুঠি আলগা করো
আনারকলি নন্দিনী,
খুবসুরতি ঘায়েল করে
করলো প্রেমে বন্দিনী।
রঙমহলে আসর বসে
বায়া তবলা সঙ্গীতে,
বিনোদিনীর বিনোদ বেনী
দুলে অরূপ ভঙ্গীতে।
শরাব সাকি নাচের নেশা
রক্তে বাজে দামামা,
সারেঙ্গী যে ছোকরা যুবা
গায়ে রঙিন পাজামা।
অরূপ গানে নাচে বিভোর
আনারকলি রঙ্গিনী ,
নবাবজাদা হাত বাড়ালে
ফুঁসছে যেন শঙ্খিনী।
নিত্যরাত্রি মধু বাসর
মেহফিলের আসরে,
রঙ তামাশা ছাড়া কি আর
নাগর আসে বাসরে?
মর্মব্যথা কেউ বুঝেনা
আনারকলি লাঞ্ছিত,
ঘরনী হতে সাধটা মনে
থাকে নারীর বাঞ্ছিত।