কতলোকের মাঝে বাস করে নিঃসঙ্গ কবি,
ওষ্ঠে বেদনামেদুর হাসি, তার পৃথিবী প্রতিদিন
তাকে উপহার দেয় এক মুঠো সোনা রোদ-
রুদ্রবীণা বাজায় কোন খেয়ালী, পূরবী রাগ
ভেসে বেড়ায় বাতাসে বাতাসে, কবি যখন হাতে তোলে একতারা,
উন্মাদ বাউল নাচে বিপুল উদ্যোমে, পায়ে ঘুঙুর ,
প্রেমগীতিতে পাথর ও গলে মাটিতে জন্ম নেয় নবচারা গাছ,
ভোরের প্রতীক্ষায় খাঁচায় বিনিদ্র রাত জাগে দোয়েল পাখি, একঝাঁক স্বাধীন চড়ুই খুঁটে খাবে ধান, নদীর জলে ভোরের আচমন সেরে
ইমন ধরেন বৃদ্ধ গায়ক, সঙ্গত ছাড়া।
তরুণীর হাত ধরেন কবি বুঝিয়ে চলেন নতুন কবিতা,
স্বপ্নে শিশির বিন্দু আম পাতায় ,অশত্থ পাতায়, বটপাতায় হাসতে থাকে ঝিকমিক করে-
কোকিল সুর করে ডাকে কোকিলাকে, ডেকেই চলে
সারারাত। বেহালা বাজিয়ে বাদক গভীর নিদ্রায়,
তাকে ঘিরে মগ্ন থাকে সুর, লয় ও তাল,
চাঁদের আত্মগোপন, সূর্যের আত্মপ্রকাশ
আর সবাইকে ঘিরে থাকে জীবনের প্রতি
প্রকৃতির ভালোবাসা, প্রচুর ভালোবাসা বেহিসাবি।