জোনাকির নক্ষত্রালোক বুকে নিয়ে সে এসেছিল একরাত,
যখন কর্পোরেট হিমের নগরসড়কে কাপুরুষ ফানুসেরা নিঃস্বতার প্রাচীর ঘিরে অনাহুত অন্ধকার ফেরি করে —
তার শিউলি ফোটা দেহ জুড়ে যত শিহরণ ছুঁয়েছিল
তার এক ফোঁটাও গড়ায়নি পুঁজিবাদী রোদ্দুরে,
সেদিন বুভুক্ষ রাতের প্রান্ত সীমায় স্বপ্নালু মাটির প্রদীপ শিখা তার রঙ-রূপ বিকিয়েছিল কান্তির চাদর গায়ে জড়িয়ে মায়ার চুম্বনে,
প্রতিদিনের অপেক্ষাচিত্র নিষাদ নয়নে বিবসন করে স্বগোক্তির কান্নায়,
অতঃপর কিছু খুচরো অনুভূতি কামুক চৌকাঠ পেরিয়ে বুকসেলফের বেতনভুক ক্রীতদাস হয়ে চরম ঘৃণায় মুখ লুকায়,
কিছু বিচ্ছেদ তবুও রোমকূপ জুড়ে ঝরায় সাম্যের স্বেদ,
কিছু বিরহ বোঝে নিক্তিতে মাপা শেষ গোধূলির নিখুঁত পোট্রেটে সাজানো কিছু নষ্ট গোপনীয়তা,
যা কাঙ্খিত সময়ের মানচিত্রে অভিজাত স্পর্শগুলো কিছু মৌলিক তৈজস আর নিষ্ঠুর বর্বরতার পৃষ্ঠা ছিঁড়ে খসে পড়ে মুখরোচক উপন্যাসের চালচিত্রে।