আলো চাই,– অফুরন্ত আলো, ভালোবাসা।
ঊষার কিরণ ধন্য প্রাণের ঈশারা,
নবীন ধানের মতো নিবিড় সুবাস।
হেমন্তের শিশির বিন্দু, বসন্তের প্রহেলিকা চাঁদ,
সরসীর মায়াবী মুকুরে উতলা বাতাস আলোড়িত হয় যেন জীবনের নিরন্তর গানে।
দখিনা পবন, উতলা বাউলমন,
চেনা পথে অচেনা গানের কলি,
জীবনের বেদনার মতো নির্ঝর ঝরে যায়,
অন্তর ভরে যায় প্রকৃতির অকৃপণ দানে।
এই পথে এই বাংলার বুকে, বিবাগী দুপুরে
অনন্তকালের মতো জীবনের গান
প্রাণ হতে প্রাণান্তরে সঞ্চারিত হয়,
পবিত্র মিলনসুখ দেহ হতে দেহান্তরে বিচ্ছুরিত হয়।
নতুন ধানের শিস অঙ্কুরিত হয়,শ্যামল সবুজ ক্ষেতে,
দুরন্ত বাতাসে আলোড়িত হয় যেন নতুন সুখেতে।
আরবার হেঁটে যাই সেই পথ ধরে,ধরণীর মহাসিন্ধু পানে,- জীবনের জয়গানে উদ্বেলিত হই সেই জীবনের ধ্যানে
অন্তহীন মহাবিশ্বে কালের বাগানে।
হে জগতের নাথ,এ বিশ্ব মাঝারে,
পাই যেন তব স্পর্শ প্রতিটি অন্তরে,
পাই যেন তব ভালোবাসা,
দয়াময় তব হৃদয়ের একবিন্দু আশা,
থাকে যেন মায়াময় প্রকৃতির প্রতি কোণে কোণে,
মানুষের অন্তরের বিমূর্ত গহনে।
তোমার অমৃত গান সুধা সম সকলেরে দিক সম্মান।
এ বিশ্বের পরিবেশ কলুষ মুক্ত হোক চিরতরে
প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোক সম, সবুজ প্রান্তরে, প্রকৃতির দান,
পাখিদের কলতানে মুখরিত হয় যেন বিমুগ্ধ ধরণী প্রাণ।
সুধা-স্নিগ্ধ বারি ধারা মহা শান্তি এনে দিক মানব কল্যাণে,
মুখরিত হোক যত জগতের লোক তব জয়গানে।।