নিদ্রা গাঢ় হলে
হঠাৎ জেগে ওঠে দীপসলতেটা,
খোলা জানলা দিয়ে এক দমকা হাওয়া আসে,
ফস্ করে নিভে যায় দীপশিখা।
অন্ধকার-সব-অন্ধকার
হঠাৎ জেগে ওঠে তৃতীয় নেত্র,
সারা ঘর এক অপূর্ব জ্যোতিতে ভরে যায়,
হরেক দৃশ্য ভেসে ওঠে দৃশ্যপটে।
নীল -সব-নীল
স্বচ্ছ নীলকান্ত মণির মত,
আমার প্রাণহীণ শরীরটা বিছানায় শায়িত,
চোখে মুখে কি অদ্ভুত প্রশান্তি জড়ানো-
শান্তি-শুধুই-শান্তি
হঠাৎ হাত বাড়িয়ে কলমটা খুঁজি,
খুঁজি কবিতার খাতাটা,
ঐ যে টেবিলের ঐ কোনে সযত্নে গুছিয়ে রাখা –
কিন্তু-হায়-একি
হাত বাড়িয়েও ছুতে পারছি না কেন?
হাওয়ায় আঙুল গলানোর মত –
হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে কেন ওরা বারবার?
আমার চেনা খাতা,সেই চেনা কলম,
আমায় যারা প্রতিদিন দুবেলা হাতছানি দিত!
তবে আজ কেন?
ওরা অধরা?কেন এত অচেনা?
যন্ত্রণা! বিষম যন্ত্রণা!
আমার সৃষ্টি!আমারদৃষ্টি!আমার হৃদয়!
কোথায়? তারা কোথায়?
তবে কি ওরাও আজ মৃত?
শুধুই কায়াহীন ছায়া?
আমার মতই অশরীরি!