গড়িয়ে চলছি চাকার মত
শৈশব থেকে দূরে অথবা
জলজ জ্বলন্ত আত্মা থেকে
বাষ্পভূত হয়ে জগতময় পরিভ্রমণ শেষে —
স্টেশনের ধুলোময় গোলকের জালে
আতঙ্কের আঁচল মুছে
সিঁড়িপথে বুনে চলেছি ঊর্ণজাল,
শেষ রাতে বৃষ্টির অপেক্ষায় লুকানো নেশার মতো
সম্ভাবনাময় প্লাবনের গল্পে নয়তো
পতঙ্গের আজন্ম আতঙ্কে
আমার সমস্ত আষাঢ়-এ দুপুর
কালের শেষ খুঁটি হয়ে স্থান পেয়েছে
নৈঃশব্দের ফিতেবাঁধা রোদচশমার স্মৃতিতে।
চলছি বল্গাহারা– ঝড়ের বেগে
দুর্গম খাদের উন্মত্ত ঝর্ণা হয়ে,
অশরীর অমোঘ সঞ্চারণে
গড়িয়ে চলছি ফের হৃৎপিণ্ড থেকে
স্মৃতির অস্থায়ী প্রকল্পে ঠোকর দিয়ে
সম্ভাব্য সকল স্পন্দন থেকে উড়াল দিয়ে,
ব্রহ্মতালুর নিচে নয়তো মগজের গারদে
শিকারি হায়নার মতো–
সভ্যতার বিন্যস্ত মাদকতা ছুঁয়ে
কামনার অন্তিম দরজায় কিম্বা
অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রণয়িকল্পে অথবা
দুর্বোধ্য গ্র্যাবিয়েলের কবিতায়।।