বড় বেশি তোমার চাহিদা
তুমি চাও সবাই হোক আজ্ঞাবহ
নেশায় বুদ হয়ে থাক বশংবদ।
নানান রঙে রাঙাও তুমি নিজেকে
রাজেন্দ্রানীর অবয়বে, বিপুল আকর্ষণে –
সরীসৃপের মতো বেয়ে আসুক কাছে
জঙ্ঘাতে রাখুক মাথা, নিঃশর্তে, বাসনায় –
নতজানু হোক তোমার উরুর সন্ধিদেশে।
তোমার আসনাই ছড়ায় চুন-সুড়কির দেওয়ালময়
নষ্ট বিকেলে ফুঁপিয়ে কেঁদে মরে গোধূলির লগন
সিঁথিপথ পায় না শেষ সূর্যের রক্তিম কিরণ।
হায় চেতনার স্বেচ্ছামৃত্যুর তোরণ পেড়িয়ে রসালো আবেদন
তুমি নির্লজ্জ পায়রা ওরাও পরকীয়ায় মেরুদেশে।
বেলাশেষের গান গায় জীবনমুখী বিবেক
তুমি তাচ্ছিলে পা এগিয়ে দাও, অক্ষম , নিস্তেজ পৌরষত্ব ঘুমিয়ে পড়ে দীনশেষে। মূক,বধির যামিনী।
তোমার আলোহীন মঞ্জিলে তমসের উদ্যোম নৃত্য
ধ্বংসের ব্যথায় ককিয়ে ওঠে গর্ভবতী ধরণী
তুমি হাসো, তৃপ্তির হাসি,আদিম, নগ্ন হিংস্রতায়
ভূমিষ্ট নবজাতক হাত নারে,নবরাত্রি স্বপ্ন মগন –
সে এক মহাজাগতিক ছন্দ পতন, নবান্নের ডাক নিয়ে,
মুহূর্তে জাগে সচেতনার সম্বিৎ ,তুমি যে স্তন দাও দুগ্ধহীন!