অবসাদ আসলো কি তবে —
জীবনের নদী কূলে জমা হয় যত শুকনো বালি,
দুই পার ভরে গেছে উপলে উপলে–
কত আর জোর করে বার বার তার উপরে
নগ্ন পায়ে একা হেঁটে চলি।
একদিন বাণ ডেকেছিল–
উচ্ছ্বল ছলছল জলরাশি টলমল,
কত গান কত ছল কত রঙ কত বল কত হাসাহাসি।
জনপদ, কি বিপদ কি বিপদ, কি দেখি কি বলি
খড়কুটো সব হায় ভেসে যায় চলি।
আজ বুঝি স্মৃতি নিয়ে থাকো–
কি কথা যে ভাবো আর কোথা বয়ে চলো,
আয়নায় মুখ দেখো নাকি!
আপনার আপনিতে আত্মহারা মতো!
কোথা যাও চলি,
যৌবনের ভরা নদী, কত কেউ হাবুডুবু,
কত কে যে চলে গেছে ভাসি,কার কথা বলি, লতাপাতা আঁকড়িয়ে কে যে ভেসে থাকে জলে
তীর বেগে ছুটে চলা নদী,
যৌবনে কি যে তার গতি–
কত তরী ভেসে যায় কেউ কেউ ডুবে যায়,
কেউ সাঁতরিয়ে পায় মাটি।
দম্ভ নিভে গেছে কবে, বলি রেখা পড়েছে যে
রিক্ততায় ভরে গেছে ডালি।
সব গেছে চলি–
নিজে সাড়া পাও আগে তবে তো মুক্তি পাবে
যে আছে পশ্চাতে পড়ে সেও শ্বাস নিতে পারে যদি!
নিত্যকাল মহাকাল নিক্তি মাপে বসি।
জীবন যৌবন মান ধনরাশি অফুরান
একদিন সব পড়ে খসি।
কালের নির্মম হাসি মিছে মায়া দিবানিশি
অবসাদে তাই ডুবেছো কি ।।