সূচীভেদ্য যাতনায় নিদ্রাহীন চোখে অনন্ত বিস্ময় প্রশ্নচিহ্ন আঁকে নিরন্তর,
আকুল তৃষ্ণা তাড়িয়ে বেড়ায় অহর্নিশ ,
ক্ষ্যাপা খোঁজে যেমন পরশ পাথরের সন্ধানে নিজের অস্তিত্ব ভুলে,
ঠিক তেমনি আমিও খুঁজে বেড়াই আকাশে- বাতাসে,ঝড় বৃষ্টি ,খরাতে শ্যেণ চক্ষুর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে,
কোথায় আছে জন্মান্তরের সেই অবাক পাথর!
যে পাথরের বুকে নিখুঁত ভাস্কর্যে খোদিত পৃথিবীর জন্মদাগ!
কে বলতে পারে! কার কাছে পাবো সেই খোঁজের সন্ধান?
যাকেই বলতে চাই– অবাক চোখে কেমন করে দেখতে থাকে আমাকে-
তারপর শুধু বলে,যত্তোসব—
আমি কান দেইনে,আবারো শুরু হয় ছুটে চলা,
এক সাগর অসীম তৃষ্ণায় আমি ছুটতে থাকি–
কখনো বা ক্লান্ত তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে স্বপ্নের ঘোরে পৌঁছেও গেছি সেই পরম কাঙ্খিত পরম ইপ্সিত পাথরের কাছে,
আবেগে উত্তেজনায় আছড়ে পড়েছি – এইতো সেই পাথর!
যেখানে জ্বলজ্বল করে লেখা আছে পৃথিবীর কথা,তার জন্মক্ষণের তির্যক চিহ্নটি!
বুভুক্ষুর মত জড়াতে গিয়ে ছিটকে পড়েছি ,স্বপ্নের ঘোর কেটে সশব্দে বাস্তবের রূঢ় কঠিন মাটিতে।
ভেঙে গেছে পাঁজরের হাড়।
ভাঙুক, নাহ্ হার আমি মানবো না-
অন্তহীন খোঁজ আমার নিরন্তর চলবেই –
সেই অবাক পাথরে পৃথিবীর জন্মদাগ খোঁজার,
যতদিন না জীবনের পৃষ্ঠা ফুরোয়—