একদিন তাসা আর ঢাকের শব্দে মেতে উঠত যে পাড়া,
শঙ্খের ধ্বনি আর কাঁসর-ঘন্টার আওয়াজে যেখানে মিলেমিশে খেলা করত জাতপাতহীন প্রবীণ গোধূলি,
সাঁঝের বেলায় তুলসী তলায় যে প্রদীপের আলোর ছোঁয়ায় মিশে থাকত সন্ধ্যাতারার মিষ্টি হাসি,
অনুপমা চাঁদের কিরণে যে ঝিলের জলে ভেসে বেড়াত জোছনার অঞ্জলি,
সেই নির্জন গাঁয়েও একসময় আঁধার নামে,
শ্রান্ত গ্রামের চোখে নামে ঘুমের অসুখ,
মায়া জড়ানো শিউলির অন্তিম ভোরে দু-ফোঁটা শিশির যেন বিষণ্ণতার আবেগি রোদ্দুর সরিয়ে সেই মন কেমনের বৃষ্টি ধারায় ভিজিয়ে তোলে সকল সম্পর্কের কোলাহল,
প্রতিটি নতুন ভোরের সাথেই শুরু হয় এক-একটি যুগের বোধন,
আর ওই প্রতিটি বোধনের মলাটের ভাঁজে লুকিয়ে থাকে কয়েকটা মৃত্যু,
সদ্যোজাত সেই ধ্বংসের প্রতিচ্ছবিকে আধুনিক শহরে উড়িয়ে দিয়ে পল্লীর মেঠো পথে নবজন্ম হয় এক অভিনব পৃথিবীর,
জন্ম নেয় জাতিস্মরের উপন্যাস,
সূচনা হয় এক অ-কবিতার নব অধ্যায়।