Pradip Acharyya (প্রদীপ আচার্য্য)

হঠাৎ করে চড়া গলায় ধমক দিলো কেউ,উজবুক তুই মূর্খ একটা… 

একটুখানি বৃষ্টি হলেই সারা শরীর ভেজেমরচে ধরা বাতাস এসে এলিয়ে… 

রাত গভীর হতেই নক্ষত্র পতন,সহস্রাব্দের ইতিহাস প‍্যাপিরাসের পাতায় ছেঁড়া তমসুকে… 

পাাঁচজন একসাথে কষে দিলে আড্ডাঝোলা থেকে বের হয় রকমারি গাড্ডা,কেউ… 

তুমি ছুঁয়ে দিতেই আমার আকাশে ফুটেছিলো রঙধনুদখিনা বাতাস চুপিসাড়ে ঢুকেছিলো… 

কথাগুলি থমকে দাঁড়ায় দোরগোড়ায়,বাইরে তখন হাজার লোকের হট্টগোল!ভ্রু কুঁচকে গন্ধ… 

তোমার দিগন্ত জোড়া নীল শাড়ির আঁচলের ছোঁয়ায়আমার বিবর্ণ পড়ন্ত বিকেল… 

কষ্টগুলি অষ্টপ্রহর বুকের ভেতর ছটফটায়,ভ্রষ্ট বলে হস্ত নেড়ে কাটা ঘায়ে… 

শরীর সেঁকেছি মেঘলা দুপুরে উপোষী পৌষ মাসে,হারানো নদীর বাঁকেতে দাঁড়িয়ে… 

এখন জেগেই থাকো নির্জনে একা,সতর্ক প্রহরাতে!নিদ্রাহীন সারারাতনিজের সঙ্কল্পে স্থিরহেতালের লাঠি… 

কুল ভাঙছে মনের মাঝেঢেউ উঠেছে তাই,ভাঙাচোরা মনকে নিয়েকোথায় বলো যাই?আধখানা… 

যদি ফেরার ইচ্ছে না থাকে তবে দুজনের মাঝেও হারিয়ে যাওয়া… 

পর্ব – ১ কুরুক্ষেত্র ষুদ্ধ শেষ, যুধিষ্ঠির এখন হস্তিনাপুরের রাজা!… 

অবশেষে শেষ ধাপে পৌঁছে নিজেকেই সঁপে দিলাম অনিশ্চিতের হাতে,হৃদয়কে দেউলিয়া… 

পারলে তুমি জলদি এসো হেথায় ভীষণ গন্ডগোল ,মূক যে ছিলো… 

মাখনের ভেতর ছুরি চালনো কি আর সব সময় হয়?কখনও কখনও… 

অনেক দিন বাদে,আমার উঠোনে কাল রোদ নেমেছিলো!বাদল মেঘের ফাঁক গলে,পড়ন্ত… 

কাল বোশেখির প্রথম ঝড়েই ,ওলট পালট সব !হিসেব নিকেশ পাল্টে… 

সন্ধ্যাটা আর হাস্নাহেনার গন্ধে ‘ম ‘ম করে না,বেতের চেয়ারে মুখোমুখি… 

কখনও কখনও নিজের ওপর ভীষণ রাগ হয়,প্রতিটি মুহূর্তে মেপে কথা… 

একটি মৃত্যু কথা আমি এখন তোমার কথায় রাগ করি না… 

উঠোনের শিমুল গাছটা আমাদের গ্রামের বাড়ির — উঠোনের শিমুল গাছটা… 

ভাঙ্গন ভরা শ্রাবণের অপরাহ্ন, দু দিন থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে…