শঙ্কিত কথামালা || Nabarun Bhattacharya
কখনো বিদেশ থেকে ফিরে আসো। সেই চেনা ঘরযার কোণে কোণে…
কখনো বিদেশ থেকে ফিরে আসো। সেই চেনা ঘরযার কোণে কোণে…
কলম দিয়ে কাগজে বুলিয়েআপনি দৃশ্যটিকেফুটিয়ে তুলতে পারবেন নাকারণ কেউ পারে…
এই সময়খণ্ডের মধ্যে নরকের অশুভ আলোয়যে-কোনো আঘাত, সূক্ষ্মতম রক্তচিহ্নঅপরিমেয় ক্ষতিকারকঅসুস্থতা…
দেখেছি জুয়াড়ির নৌকো তিনজন আরোহীকে নিয়েঅশুভ আকর্ষণে ছুটে যাচ্ছে কালো…
বারুদ মাখানো তাদের ঘরের দেওয়ালহালকা কাঠের খটখটে নিচু ছাদফ্যাকাশে অনেক…
আশ্চর্য গোলক চাঁদের ছদ্মবেশেমায়াবী মাটি ও তৃণ, ঘাসের মণ্ডলে এসেহিমমাখা…
সাঁওতালদি ব্যাণ্ডেল একে একে নিভে গেলেনিরীহ মানুষটি অন্ধকারে পা ফেলেহেঁটে…
আমার ভালোবাসায় যে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলসেই মেয়েটি এখন আত্মহত্যা করছে।নীল…
চুপএখন গ্রহণ চলছেতাই সব কিছু ছায়া দিয়ে ঢাকা।দুরন্ত চীনেমাটি বাসনের…
কোনো এক কুঠুরিতে লণ্ঠনের নিভে আসা আঁচেদেখা যায় একটি মেয়ে…
আমার এ কুষ্ঠরোগসারানো কি কলকাতা শহরের কাজযার হাইড্রেণ্টে জল নেই।তাই…
সারারাতচাঁদের সাবান দিয়েমেঘের ফেনায় সব ঢেকেকার এত কাজ পড়েছেযে আকাশটাকে…
খারাপ সময় কখনও একলা আসে নাতার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আসেতাদের…
আমি তোর অকৃত্রিম শুভাকাঙক্ষী, নীলশকুনের ঠোঁট নখ ছিড়েছিল যাকেপ্রতিহিংসার ফুল…
তিরিশ হাজার লোক ভাসছেনোনা জলের ধাক্কায় তাদের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত…
আমি মরে গেলেআমি শব্দ দিয়ে যে বাড়িটা তৈরি করেছিসেটা কান্নায়…
আমি সেই মানুষযার কাঁধের ওপর সূর্য ডুবে যাবে।বুকের বোতামগুলো নেই…
ডাক্তার, অসম্ভব আনন্দ হচ্ছেসম্পূর্ণ সুস্থ আপাততগত দুবছর আগে সম্ভবত শীতেশহরে…
আমি অনেক ভেবে দেখেছি।আজকে—এই সভায়ভিয়েতনাম নিয়ে একটা কবিতাআমার পক্ষে পড়া…
একটা কথায় ফুলকি উড়ে শুকনো ঘাসে পড়বে কবেসারা শহর উথাল…
আমার ঠোঁটের মধ্যে, আমার বুকের গভীরেঝড়ের অতল শব্দ, পাতা উড়ে…
অনেক গ্রামবাসীতাদের চারজন কমরেডের মৃতদেহর জন্যেশহরতালুকের মর্গের বাইরেসকাল থেকে বসে…
যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায়আমি তাকে ঘৃণা…