কলির কেষ্ট (Kolir Keshto)
(বাঁশির সুর)
কেডা রে –? কেডা? উ– কেলিকদম্ব গাছের এই ডাল ওই ডাল কইরা লাফ দিয়া বেড়াইত্যাছে? ও– ঘোষ পাড়ার হেই বখাইটা পোলাটা না? উ – হুঁ,– আবার পিরুক পিরুক কইরা বাঁশি বাজান হইত্যাছে – নাইম্যা আইস – নাইম্যা আইস। ভদ্-দুপুর বেলা মাইয়াগো ছান ঘাটের কাছে – অ্যাঁ – হ্যাঁ-হ্যাঁ, আবার কেষ্ট সাজছেন? যিনি কেষ্ট সাজছেন, নামো শিগগির নামো – পোড়াকপাইল্যা নামো –
তুমি নামো হে নামো
শ্যাম হে শ্যাম।
কদম্ব-ডাল ছাইড়া নামো
দুপুরি রৌদ্রে বৃথাই ঘামো
ব্যস্ত রাধা কাজে
শ্যাম হে শ্যাম।
আ রে, তোমার ললিতা দেবী কী করতেয়াছে জাননি? তোমার ললিতা দেবী?
আরে ললিতা দেবী সলিতা পাকায়,
বিশাখা ঝোলে হিজল-শাখায়;
আর বৃন্দা দূতী কী করছে জান ? বৃন্দা দূতী ?
বৃন্দা দূতী পিন্ধা ধুতী
গোষ্ঠে গেছেন তোমার ‘পোস্ট’
সাজিয়া রাখাল সাজে
আর চন্দ্রা গেছেন অন্ধ্র দেশে
মান্দ্রাজি জাহাজে।
আবার ইতি উতি চাও ক্যা ? ইতি উতি চাইবার লাগছ ক্যা? অ্যাঁ?
আমি কমু না, কোনখানে তোমার যমুনা তা আমি কমু না?
আরে ইতি উতি চাও বৃথাই
আমি কমু না কোথায় তোমার যমুনা
কইলকাতা আর ঢাকা রমনার
লেকে পাবে তার নমুনা।
আরে, তোমার যমুনা ল্যাক হইয়া গ্যাছে গিয়া ! বুঝলা?
হালার যমুনা হইয়া গ্যাছে গিয়া
কলেজে ফিরিছে শ্রীদাম সুদাম
শ্রীদাম সুদাম কলেজে যাইত্যয়াছে আর তুমি এখানে বাজাইত্যাছ অ্যাঁ? পোরা কপাইল্যা –
কলেজে ফিরিছে শ্রীদাম-সুদাম
মেরে মাল-কোঁচা খুলিয়া বোতাম,
লাঙল ছাড়িয়া বলরাম
ডাম্বেল মুদ্গর ভাঁজে;
ওহে শ্যাম হে শ্যাম
আরে তুমি নামো
পোড়া কপাইল্যা নামো॥