‘সেই ঘাটে খেয়া দেয় ঈশ্বরী পাটনী।’
– অন্নদামঙ্গল।
কে তোর তরিতে বসি, ঈশ্বরী পাটনি?
ছলিতে তোরে রে যদি কামিনী কমলে,
কোথা করী, বাম করে ধরি যারে বলে,
উগরি, গ্রাসিল পুনঃ পূর্ব্বে সুবদনী?
রূপের খনিতে আর আছে কি রে মণি
এর সম? চেয়ে দেখ, পদ-ছায়া-ছলে,
কনক কমল ফুল্ল এ নদীর জলে-
কোন দেবতারে পূজি, পেলি এ রমণী?
কাঠের সেঁউতি তোর, পদ-পরশনে
হইতেছে স্বর্ণময়! এ নব যুবতী-
নহে রে সামান্যা নারী, এই লাগে মনে,
বলে বেয়ে নদী-পারে যা রে শীঘ্রগতি।
মেগে নিস, পার করে, বর-রূপ ধরে
দেখায়ে ভকতি, শোন, এ মোর যুকতি!