দায়বদ্ধতা || Prahlad Bhaumik
মুখোশে আড়াল রেখেছ মুখদরপরদায় দরদালানঘর ও বাড়ীর দরজা জানালাহাহাকার লুকোবে…
মুখোশে আড়াল রেখেছ মুখদরপরদায় দরদালানঘর ও বাড়ীর দরজা জানালাহাহাকার লুকোবে…
দীর্ঘ সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে বিশাল গুহা গহ্বর থেকেউঠে এসেছে যে…
অনেকটা শ্যামল সন্ধ্যার গানে ভেসে আসার মতোআমার চারপাশ ঘিরে যখন…
যখন শুরুতে খুব কৌতুহলী হইএবং ভীষণ উত্তেজনা অনুভব করিতখন অদৃশ্য…
মোহ আর মায়ার মহিমা গড়িয়ে যেতে যেতেমন যখন বিভোর হয়ে…
যে ফুল কখনও দিনে ফোটেনাসে ফুলের মেধাবী গন্ধে শব্দনীড় খুঁজে…
কোথাও যাবার আগে মনে মনে এই মনএমন উচাটন ও তৎপর…
ঝড় উঠলেই দরজার কড়া নাড়ার ক্রমাগত শব্দবেজে ওঠে, ঝড়-জলের দিন…
পথের ধুলোয় বাতাস ভারী হয়ে এলেআরও ভারী হয়ে ওঠে সারিবদ্ধ…
সরকারি ত্রাণ বিলি চলছেলাইনে হাতে হাতে দেওয়া হচ্ছেশুকনো খাবারের রঙিন…
কোনও কিছু দেখার আগে নাদেখাগুলো যেমনকল্পনায় বাস্তবের মতো ওঠে আসেকোনও…
আমার সমস্ত ভালোলাগার পর যেটুকু মন্দলাগারতার তিন ভাগ জল ,একভাগ…
নদীতে নেমে নেমে আপন করেছ জলজলে নেমে জড়িয়ে ধরেছ নদীআত্মস্থ…
বিশ্বাসই হয়না, মনেও হয়না তুমি নেই‘কবিদের মৃত্যু নেই’, তোমারও মৃত্যু…
বুকের ভেতরঅনেকটা জমি পতিতবুকের ভেতরঅনেকটা জুড়ে অতীতপতিত জমির দখল কাউকে…
ক্যানভাসে আঁকা ছিল ভোরের নরম রোদ্দুরকোকিলের কুহু ডাকে থই থই…
ঘন ঘন লোডশেডিং’এ তিতিবিরক্ত মুহূর্তগুলোচারপাশের অন্ধকার হাতরিয়ে দেখে নেয়তারা নিজেরা…
সদর্পে ছুঁয়েছি তোমার সব স্বপ্নঅধিকারে রেখেছি হাত হাতে,নির্ভয়েনির্ভিক বলেইআড়াল ভেঙেছি…
সকলেরই কিছু না কিছু বেদনার কথা থাকেআনন্দেরও থাকেসকলেরই কিছু না…
স্বরচিত কবিতার মতো বানভাসি নদী যাপন করিদুঃস্বপ্নের রাত্রির মতো বিনিদ্র…
মাটির বনেদি গন্ধ পাশের উঠোনে,আনাচে কানাচে আর দিগন্ত রেখায়আকাশ নেমেছে…
আমার থরে থরে স্মৃতি , বাকরুদ্ধ আত্মকথাবাক্সবন্দী পান্ডুলিপি ও নির্মম…
কখনও জীবনের একান্ত মুখোমুখি এলেঅদ্ভুত স্বপ্নে জেগে ওঠা স্পর্শকাতর মুহূর্তগুলোধ্রুপদী…
বুকের ভেতরে যে কিছু একটা হচ্ছেসারাক্ষণ কেমন উথালপাতাল হচ্ছেআর বুকের…
তোমার চোখ দুটো চেয়ে আছেপ্রশ্ন চিহ্নের মতোওত পেতে আছে অপলকআমার…
অনেক দহন আর অভিমানে পরিত্যক্ত এক মাঠেরগা ছমছমে অগোছালো চওড়া…
বন্ধুত্ব হারিয়ে গেলে অভিমান জেগে ওঠে খুবনেমে আসে চারপাশে ঘন…
আমার কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেইতবুও আড়ালে শব্দে শব্দে নিজেকে আঁকিআঁকতে…
নিজের জীবন মানে সেই বিস্ময় যাপনসেই রুদ্ধ পারাপার মুহূর্তযার কালাতিক্রমে…
গুহা-গহ্বর থেকে ওঠে আসে শব্দবীজ,জীবন যাপনের স্বরলিপি,অন্তর্গত ভাষাও ভালোবাসাঅসম্ভব ভালোবাসার…
আমার ভেতর এক ছলাৎছল ঢেউ নদীপাড় ভাঙছে ক্রমাগতভাঙছে বিষাদ বুকের…
আমাদের কথা বলা আর ঘন হয়ে ওঠাসম্পর্কগুলো পাতার মর্মরের মতো…