আবার যেই কে সেই (Abar Jei Ke Sei)
কী মশাই, আবার যেই কে সেই?
শ্ৰীনগর ফিরে এসে আমরা সকালে বোটের উপরের ডেকে বসে চা খাচ্ছিলাম, এমন সময় লালমোহনবাবু মন্তব্যটা করলেন।
যেই কে সেই, বলল ফেলুদা।যা বুঝছি, ছুটি-ভোগ মানেই দুভোগ। ক্রাইম যেন আমাদের পিছনে ওত পেতে থাকে, একটু আরাম করলেই ঘাড়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে এবার যে রকম হতভম্ব হয়েছি, সে রকম কখনও হয়েছি বলে মনে পড়ে না। কোনও খুঁটিই যেন খুঁজে পাচ্ছি না, যেটা ধরে একটু এগোব! সব অন্ধকার।
তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে চা-টা শেষ করে একটা চারমিনার ধরিয়ে বলল, সুশান্তবাবুকে বলতে হবে একবার যদি মিঃ মল্লিকের ডায়েরিগুলো দেন।
ও ডায়েরি দিয়ে আপনার কী লাভ? জিজ্ঞেস করলেন লালমোহনবাবু।
কীসে কী কাজ দেয় তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে? অবশ্য মিঃ মল্লিকের রাজি হওয়া চাই। সেটা সুশান্তবাবুকে একবার জিজ্ঞেস করতে হবে।
তা, সে তো এখনই পারেন-ওই তো সুশান্তবাবু।
সত্যিই দেখি, ভদ্রলোক শিকার করে বুলেভার্ডের দিক থেকে ফিরছেন, সঙ্গে কিছু খরিদ করা জিনিসপত্র।
ফেলুদা ডেকের রেলিং-এর পাশে ঝুঁকে পড়ে ডাক দিল।
ও মশাই, এক মিনিট এদিকে আসতে পারেন?
শিকারাটা আমাদের বোটের কাছে চলে এল। ফেলুদা বলল, মিঃ মল্লিকের ডায়েরিগুলো কি আপনি সঙ্গে এনেছেন?
সবগুলো, বললেন সুশান্তবাবু, চব্বিশটা আছে।
ওগুলো দু-তিনটে করে ধার নিতে পারি? মল্লিক ফ্যামিলি সম্বন্ধে আরেকটু জানতে না পারলে আমি এই নতুন পরিস্থিতির ঠিক কিনারা করতে পারছি না। আমার মনে হয় ডায়েরিগুলো পড়লে কিছুটা সুবিধা হতে পারে।
সুশান্তবাবু বললেন, আমি একবার সাহেবকে জিজ্ঞেস করি।
নিশ্চয়ই।
আমার মনে হয় না। উনি কোনও আপত্তি করবেন, কারণ আপনারা তো সবই শুনেছেন ওঁর মুখ থেকে।
আধা ঘণ্টার মধ্যে সুশান্তবাবু চারটে পুরনো ডায়েরি সঙ্গে নিয়ে আমাদের হাউসবোটে এসে হাজির; বললেন, এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন। বললেন, জীবনী যখন বেরোবে, তখন তো সবই জনাজানি হয়ে যাবে কাজেই এখন পড়তে দিতে আর কী আপত্তি থাকতে পারে? আর ক্রাইমের কথাই যদি হয়, তা হলে সবই তো খবরের কাগজের রিপোর্টে বেরিয়েছে।
ফেলুদা বলল, এগুলো দেখা হয়ে গেলে আর এক সেট আমি আপনার কাছ থেকে চেয়ে আনব!..তোপ্সে-তুই আর লালমোহনবাবু বরং যা, মানসবল লেকটা দেখে আয়। আমি এখন একটু ঘরে বসে কাজ করব।
ভাল কথা, বললেন সুশান্তবাবু, আপনারা পাহালগাম যাবেন না?
ইচ্ছে তো আছে।
কবে যাবেন? আমার মনে হয় আমাদের সঙ্গে গেলেই ভাল। আমরা পরশু যাচ্ছি।
ভেরি গুড।
মানসবল লেকের মতো স্বচ্ছ জল আমি আর কোনও লেকে দেখিনি; জলের একেবারে তল অবধি উদ্ভিদ দেখা যায়। ভারী অদ্ভুত লাগে দেখতে।
লালমোহনবাবু দৃশ্য উপভোগ করলেন ঠিকই, কিন্তু বুঝতে পারছিলাম, মাঝে মাঝে ওঁর ফেলুদার তদন্তের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। একবার বললেন, তোমার দাদা ওই ডায়েরিগুলো পড়ছেন কেন জানি না। যাদের একবার ফাঁসি হয়ে গেছে তারা তো আর খুনখারাপি করতে পারবে না।
আমি বললাম, সেটা ফেলুদাকেই বুঝতে দিন না।
মানসবল শ্ৰীনগর থেকে আঠারো মাইল দূরে; আমাদের ফিরতে ফিরতে হয়ে গেল সন্ধ্যা সাড়ে ছটা। ফেলুদা দেখলাম বৈঠকখানার সোফায় বসে তখনও ডায়েরি নিয়ে পড়ছে। বলল, সারা দিনে বারোটা ডায়েরি পড়ে শেষ করেছে এবং সব কটাই নাকি ইন্টারেস্টিং।
কোনও কাজ হল কি? জিজ্ঞেস করলেন জটায়ু।
ফেলুদা বলল, কাজ কীসে হয়, সেটা অনেক সময় আগে থেকে বোঝা যায় না। আপাতত আমার কাজ হচ্ছে তথ্য সংগ্ৰহ করা। নতুন তথ্য কিছু বেরিয়েছে—শুধু ডায়েরি থেকে নয়। যেমন বিজয়বাবু বলেছেন যে সেদিন যে উনি ঘাড়ে ধাক্কা খেয়েছিলেন তখন একটা ঠাণ্ডা, ধাতব স্পর্শ অনুভব করেছিলেন। আমার মতে সেটা আংটি ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। তবে তাতেও যে খুব সুবিধে হচ্ছে তা নয়, কারণ আংটি এখানে তিনজন পারেন-সুশান্তবাবু, মিঃ সরকার আর প্রয়াগ। আর যদি এ দলের বাইরে কেউ থাকে তা হলে তো চমৎকার। তা হলে আমাদের কোনও তদন্তই কাজ দেবে না।
কিন্তু সে রকম দল কি বেশি ছিল? জিজ্ঞেস করলেন লালমোহনবাবু!
তা ছিল না ঠিকই।
আমার তো একটিও মনে পড়ছে না।
একটি ছিল-পাঞ্জাবি দল–তবে তাদের পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই ছিল ঘোড়ার পিঠে।
আশা করি আর কোনও গোলমাল হবে না।
আপনার মুখে ফুল-চন্দন পডুক। ভূস্বর্গে এসে এ সব ঝামেলা ভাল লাগে না-বিশেষ করে যখন বুদ্ধি খাটাবার কোনও স্কোপ পাওয়া যাচ্ছে না।
*
পাহালগাম যাবার আগে আমরা শ্ৰীনগরে আর এক’দিন ছিলাম, তার মধ্যে ফেলুদা মিঃ মল্লিকের বাকি ডায়েরিগুলো পড়া শেষ করে ফেলল।
কী বুঝলেন? জিজ্ঞেস করলেন জটায়ু।
ফেলুদা বলল, অন্তত ছটা প্রাণদণ্ড সম্পর্কে উনি নিশ্চিত যে সেগুলো অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলোতে তিনি ভুল করেছেন। এই ছটা কেসেই কারাদণ্ড দেওয়া উচিত ছিল। একটি বিশেষ কেস-সেখানে আবার আসামি হচ্ছেন কাশ্মীরি, নাম সঙ্গু–সেখানে ফাঁসির হুকুম দেওয়ার পরে মল্লিকের খুব অনুশোচনা হয়। তারপরেই অবিশ্যি ওঁর অ্যানজাইনার পেইন আরম্ভ হয় এবং উনি কিছু দিনের মধ্যে রিটায়ার করেন।
পাহালগাম শ্ৰীনগর থেকে ষাট মাইল। লিন্দার উপত্যকায় ছোট্ট শহর। এক পাশ দিয়ে খরস্রোতা লিদর নদী বয়ে গেছে। তাতে সাহেবরা ট্রাউন্ট মাছ ধরে। শহরের উত্তর-পূর্ব দিকে বরফের পাহাড় দেখা যায়। আগে এখানে হোটেল-টোটেল ছিল না, এখন অনেক হয়েছে। তবে এখনও ইচ্ছে করলে তাঁবু ভাড়া নিয়ে নদীর ধারে থাকা যায়। আমরা সেভাবেই থাকব বলে ঠিক করলাম।
চারটে ট্যাক্সি করে আমরা সবাই বেরিয়ে পড়লাম। চমৎকার পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে বারোটার মধ্যে আমরা পাহলগাম পৌঁছে গোলাম। শহরটা একপেশে; নদীর পশ্চিম দিকে শুধু পাহাড়, বাড়ি ঘরদের কিছুই নেই। আর পুব দিকে পাহাড়ের গায়ে ছড়িয়ে আছে হোটেল, রেস্টোর্যান্ট, দোকানপাট নিয়ে ছবির মতো শহর।
আমাদের তাঁবুর জন্য আগেই বলা ছিল, গিয়ে দেখি যে তাঁবু খাটাকার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। এ তাঁবু স্পেশাল ধরনের মজবুত তাঁবু, এতে ডাইনিং রুম, বেডরুম, অ্যািটচুড বাথরুম সবই আছে। আমাদের একটা তাঁবু আর মল্লিকদের দুটো। সামনে বিশ হাতের মধ্যে দিয়ে তোড়ে বয়ে চলেছে। লিন্দর নদী, তার একটানা শব্দ কখনও থামে না; লালমোহনবাবু হলিউডের ছবির কথায় চলে গেলেন; বললেন, মশাই, একমাত্র ওয়েস্টার্ন ছবিতেই এ রকম আউটডোর লাইফ দেখেছি; আমাদের আবার কোনও দিন এরকমভাবে থাকতে হবে, ভাবতে পারিনি।
দুপুরে তাঁবুতে লাঞ্চ খেয়ে (এখানেও সঙ্গে কিচেন রয়েছে) সবে বাইরে বেরিয়েছি। এমন সময় দেখি সুশান্ত সোম আমাদের তাঁবুর দিকে আসছেন।
লাঞ্চ শেষ? জিজ্ঞেস করলেন ভদ্রলোক।
হ্যাঁ, বলল ফেলুদা।
এখান থেকে আট মাইল দূরে চন্দনওয়াড়ি বলে একটা জায়গা আছে জানেন তো?
যেখানে একটা বরফের ব্রিজ আছে-যেটা সারা বছর থাকে?
হ্যাঁ।
সেটা দেখতে যাবার মতলব করছেন নাকি?
গেলে সবাই একসঙ্গে গেলেই তো ভাল হয়?
তবে আজই সবে এলাম, আজ ভাবছিলাম পাহালগামটাই ঘুরে দেখব। চন্দনওয়াড়ি কাল গেলে হয় না?
আমাদেরও সেই আইডিয়া। আমি শুধু আপনাদের ইনভাইট করতে এলাম।
ফেলুদা বলল, অবশ্যই একসঙ্গে যাব। আমাকে ছাড়া বোধহয় আপনাদের আর চলবে না। এর মধ্যেই যা একটা কেলেঙ্কারি কাণ্ড ঘটে গেল। এটাকে তো অ্যাটেমটেড় মার্ডার ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। বিজয়বাবুর খুব ভাগ্য ভাল যে, উনি বেঁচে গেলেন।
তা হলে কাল দুটো নাগাদ যাওয়া যাক। এখান থেকে আট মাইল ঘোড়া করে যেতে হয়। লাঞ্চ করে বেরিয়ে পড়া যাবে।
প্রয়াগ। প্রয়াগ? মিঃ মল্লিক ডাকতে ডাকতে তাঁবু থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁর চোখে ভ্রূকুটি। এদিকে প্রয়াগ সামনেই নদীর ধারে হাত-মুখ ধুচ্ছে।
বোধহয় নদীর শব্দের জন্য শুনতে পাচ্ছে না, বলল ফেলুদা।
না, বললেন মিঃ মল্লিক, ও এমনিতেই কানো একটু খাটা, তিনবার না ডাকলে উত্তর দেয় না?
প্ৰয়াগ এবার ডাক শুনে মনিবের কাছে দৌড়ে গেল।
যাও, আমার, লাঠিটা নিয়ে এসো।
হুজুর, বলে প্রয়াগ তাঁবুর ভিতর চলে গেল।
কিছুক্ষণ থেকেই দেখছিলাম ফেলুদা প্রয়াগকে একদৃষ্টি লক্ষ করছে। কেন, সেটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
ইতিমধ্যে অন্য তাঁবুটা থেকে বিজয়বাবু আর মিঃ সরকারও বেরিয়ে এসেছেন। সরকার এঁদের সঙ্গ ছাড়েননি। মনে হয় পুরো টুরটাই এঁদের সঙ্গে ঘুরবেন।
আমরা কাল চন্দনওয়াড়ি যাচ্ছি, বললেন সুশান্তবাবু।
সকলে প্ৰস্তাবে সায় দিল।
ফেলুদা বলল, তোরা দুজনে ডেক-চেয়ার নিয়ে নদীর ধারে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ কর, আমি একটু পাহাড়ি পথে ঘুরে আসি। মাথাটা একটু পরিষ্কার করা দরকার।
কতক্ষণের জন্য যাবে? আমি জিজ্ঞেস করলাম।
এই ঘণ্টাখানেক, বলল ফেলুদা।
সঙ্গে আপনার বিশ্বস্ত অস্ত্রটি আছে তো?
তা আছে।
ফেলুদা চলে গেল।
লালমোহনবাবুর মাথায় একটা নতুন গল্পের প্লট এসেছে, সেটা আমাকে শুনিয়ে পরখ করে দেখে নিলেন। আমি আবার কিছু ইমপ্রুভমেন্ট সাজেস্ট করলাম। এই করতে করতে প্ৰায় ঘণ্টা দেড়েক বেরিয়ে গেল। নদীর ধারে বসে থাকলে বোরিং লাগে না, তাই সময়টা বেশ কেটে যাচ্ছিল, এমন সময় লালমোহনবাবু বললেন, দু ঘণ্টা হতে চলল, তবু তোমার দাদা এলেন না–
সত্যিই তো! এটা আমার খেয়ালই হয়নি।
কী করা যায়, বলো তো?
ফেলুদার সঙ্গে থেকে থেকে আমারও অভ্যোস হয়ে গেছে মুহূর্তে ডিসিশন নেবার।
আমি উঠে পড়লাম।
চলুন, ওকে খুঁজতে বেরোই।
চলো।
ফেলুদা কোন রাস্তা ধরেছে সেটা আমরা জানতাম। আমরা দুজনে সেই পাহাড়ি পথে চড়াই ধরে রওনা দিলাম। পাইন বনের মধ্যে দিয়ে পথ, পরিবেশ চমৎকার, কিন্তু আমাদের সে সব উপভোগ করবার মতো মনের অবস্থা নেই। ফেলুদা বলেছিল এক ঘণ্টায় ফিরবে; এ বিষয়ে ওর কথার নড়াচড় হয় না। কিছু একটা গণ্ডগোল নিশ্চয়ই হয়েছে।
আধা ঘণ্টা হাঁটার পরেই যা খুঁজছিলাম, তা পেয়ে গেলাম। একটা ঝোপের ধারে মাটিতে হাত-পা ছড়িয়ে পড়ে আছে ফেলুদা। আমার গলা মুহূর্তে শুকিয়ে গেল।
লালমোহনবাবু পালস ধরেই বললেন, বেঁচে আছেন—কোনও চিন্তা নেই।
ফেলুদাও নড়েচড়ে উঠল। তার পরেই উঠে বসে মাথার পিছনে হাতটা দিয়ে মুখটা বিকৃত করে বলল, এবার মিস করেনি রে। একেবারে মোক্ষমভাবে লক্ষ্যভেদ।
উঠতে পারবে?
নিশ্চয়ই। ব্যথা তো মাথায়।
ফেলুদা উঠে পড়ে আমাদের দুজনের কাঁধে ভর করে কয়েক পা হেঁটে বলল, ঠিক হ্যায়, হাঁটতে পারব।
কিন্তু কাউকে কি দেখতে পেলেন?
তা হলে তো তদন্ত ফুরিয়ে যেত। সে লোক অত কাঁচা নয়। কটা দিন যাক। আর একটু মাথা না খাটালে চলছে না।
রাত্তিরে মিঃ মল্লিকের তাঁবুতে আবার প্ল্যানচেট হল। বলা হয়নি, এর মধ্যে শ্ৰীনগরে আর এক’দিন প্ল্যানচেট হয়েছিল যাতে আমরাও উপস্থিত ছিলাম। শাসমল বলে এক মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আত্মা এসে বলল যে, সে সত্যিই খুন করেছিল।
আজকের প্ল্যানচেটে ফেলুদা ডায়েরি পড়ে যার কথা বলেছিল, সেই কাশ্মীরি মিঃ মনোহর সপুর আত্মা নামানো হল। আশ্চর্য মিডিয়ম ডাঃ মজুমদার-দেশ মিনিটের মধ্যেই আত্মা চলে আসে।
সপুর আত্মা প্রশ্ন করল, আমাকে কেন ডেকেছ?
মিঃ মল্লিক বললেন, তোমাকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলাম আমি। যে খুনের মামলার আমি ছিলাম জজ।
সেটা আমি জানি।
আমার বিশ্বাস হয়েছিল খুনটা তুমি করেনি।
খুন করেছিল হরিদাস ভগত। পুলিশ ভুল তদন্ত করেছিল। কিন্তু এখন আর তাতে কিছু এসে যায় না।
কিন্তু আমি যে সেই সেভেনটি এইট থেকে দুশ্চিন্তায় ভুগছি।
তুমি কি আমার কাছে ক্ষমা চাও?
হ্যাঁ।
বেশ, করলাম তোমাকে ক্ষমা। কিন্তু আমার যেসব আত্মীয়বন্ধু জীবিত আছে, তারা তোমায় ক্ষমা করেনি বা করবে না।
তাতে কিছু যায় আসে না। আমি তোমার ক্ষমা চাই।
বেশ, ক্ষমা করলাম। আমি আসি।
প্ল্যানচেট শেষ হল!
মিঃ মল্লিক। আবার স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।
আমরা নিজেদের তাঁবুতে ফিরে এলাম।
বালিশে মাথা রাখার দশ মিনিটের মধ্যেই ঘুম এসে গেল।