সোনালী রেখা আত্মীয়-পরিজন সকলেই জানল রুচিরা জিতেছে। আনন্দে ডগমগ হবার

সুলক্ষণা পাঠক ধরে নেবেন না একটা গল্প লেখার তাগিদে বাইশ

রূপসী বাংলার মুখ মেয়েটাকে চোখের ওপর বড় হতে দেখেছি। ঢলঢলে

বারমুডা লিলি কুণাল বোস হেসেই বাঁচে না। শিবু কাকার দপ্তরে

দীপ জ্বেলে যাই মেন্টাল অবজারভেটরি। ছবির মত ঝকঝক করছে বাড়িটা।

আতসী অতসী একটি ফুলের নাম। স্বর্ণাভ। দেখতেও মিষ্টি। অতসী গাঙ্গুলির

সকলের কল্পনার বাইরে কিন্তু সকলের অগোচরে সকলের কল্পনার বাইরে প্রায়

ভুল হল, খুব ভুল হল এবারও কপালী বাবাই বিয়ে দেবেন।

চৌদ্দ পনেরো বছরের রাধা কিন্তু সেদিনের চৌদ্দ পনেরো বছরের রাধার

সকাল দশটার ফ্লাইটে সকাল দশটার ফ্লাইটে রওনা হয়ে বেলা বারোটায়

ঘোষ সাহেবের বাড়ি ঘোষ সাহেবের বাড়ির এই পুজো দেখে সকলেই

বড় রকমের দুর্ভাবনা সাত আট মাসের মাথায় ভদ্রলোককে নিয়ে আমার

দোতলার বাসিন্দা পাশের বাড়ির দোতলার বাসিন্দাটির জন্য মন খারাপ হয়ে

সহাবস্থান মস্ত বাড়ি, দুতিনখানা ঝকঝকে গাড়ি আর টাকাপয়সার ছড়াছড়ি-কিন্তু এমন

মুখোমুখি প্রশান্ত মিত্র দোতলার বারান্দায় ইজিচেয়ারে গা ছেড়ে বসেছিলেন। ঘণ্টাখানেক

দাম্পত্য ঘুম থেকে উঠতে একটু বেলাই হয় রমেনবাবুর। খাটুনির জীবনে

মা বাবা মা ভাই বোন ভাইয়ের স্ত্রী ভগ্নিপতি–সব মিলিয়ে একঘর

বোরখা নায়ক ছেড়ে এই কাহিনীর লেখকও আমি নই। আমি অনেকটা

পথচিত্র আমার ভাল লাগে। পথে নেমে নিঃশব্দে আমি জীবন-চিত্র দেখি।

দিনবদল বৃন্দাবন পালের পর্যন্ত একজন অনুগত সহকারী আছে। যারা জানে

আরোগ্য ব্যবস্থা দেখে রাধারাণী খুশী। জীবন এখানে যত্নের জিনিস, লালনের

আচরণ সুমিত্রা সিংহর বয়েস এখন আটচল্লিশ। কিন্তু মেয়েদের কাছে আটষট্টির

রূপ বড় দুটোকে নিয়ে গোড়া থেকেই বাপ-মা যেমন নিশ্চিন্ত, ছোটটাকে

মধুরঙ্গ মধু রঙ্গনাথনের সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ ছাব্বিশ-সাতাস বছর আগে।

বাঘিনীর নিঃশব্দ গর্জন আজও গ্রামই দেখবেন লোকনাথবাবু ভাবেননি। তেত্রিশ বছর

ফেরারী অতীত তখনো ভালো করে ফর্সা হয়নি, বিশ হাত দূরে

ক্ষুধা ট্রেনে সাধারণত থার্ড ক্লাসের খদ্দের আমি। স্লপার কোচে সাড়ে

সৈনিক অপর্ণা এবারে সত্যিই চলল তাহলে! অনেক দিন যাবে যাবে

মেজর সেবকরাম সন্ধ্যার পর আজ বেশ একটু সময় নিয়ে আর

বিবেচনা সাপেক্ষ পড়া শেষ হতে সকলেই ওরা চুপচাপ বসে রইল

দুজনার ঘর তৃতীয় মানুষ এলে দুজনার ঘর টেকে না। অনেক,

তৃষ্ণা প্যাট মেনডোনসা, এই ঘরে তুমি এসেছ আমি বুঝতে পারছি।

তিলে তিলে তিলোত্তমা আজব শহরের আজব বাহার! ঘড়ি ধরে সন্ধ্যা

তপ মহিলাকে প্রথম দিন দেখেই মনে হয়েছিল, গল্প আছে। কথাটা

আকাঙ্ক্ষা এক অন্তরঙ্গ বন্ধুর সঙ্গে দেখা গৌরকিশোর অধিকারীর। বন্ধ ট্রামের

দ্বিতীয় বাসর গাঁজাখুরি কাহিনীর নামের প্রসঙ্গ পরে। কাহিনী প্রসঙ্গও পরে।

একাকী জোনাকী এই পরিণাম আমার জানা ছিল। সেটা কবে আসবে,

স্মৃতি যদি ফেরে কমল গুহ আমার সহপাঠী ছিল আর প্রতিবেশী

রমা মিত্র এবং মালবী মিত্র …প্রশান্তকে তিনদিন বাদে আসতে বলেছিল

যৌবন দুনিয়াখানা যৌবনের বশ। এক বুড়ো প্রায়ই আক্ষেপ করত, আর

পরিতাপ আমার ধারণা, বিচারে লোকটার ফাসী হবে, নয়ত দ্বীপান্তর হবে।

পরনে ঢাকাই শাড়ি স্বপ্নের গাছে বাস্তবের ফল সত্যিই ধরে? বিজন

তমোঘ্ন এই পাহাড়ী মরুরাজ্যে হৃদয়ের চাষ নেই। পাহাড়গুলো সব অতিকায়

চলো জঙ্গলে যাই সকালে খানিকক্ষণ রেডিও শোনা অভ্যাস। তাই শুনছিলাম।

ঘৃণা রোজই রাত নটা নাগাদ টার্মিনাস থেকে বাসে উঠি। ফেরার

আহুতি সোমনাথ চাটুজ্যের কাছে আজও একে একে পাঁচ-ছ দফা লোক

আশা আর বাসা ছিল পোস্টমাস্টারের মেয়ে। নিজে কিছুকাল করল স্কুল-মাস্টারি।

হিসেবের বাইরে সকাল সাতটাও নয় তখন। বাইরের বাঁধানো দাওয়ায় গরম

রানীদিন ক্যালেণ্ডারে আজকের তারিখটার দিকে তাকাতেই প্রায় উনিশ বছর আগের

ফল ট্রেনে ওঠা মাত্র লোকটার দিকে চোখ গেল তার দুটো

আপস এটা গল্প ঠিক নয়, মনস্তত্ত্বগ হিউম্যান বিহেভিয়ারিজম বা মানবিক

সম্পাদক কলকাতা থেকে ট্রেনে উনিশ মাইল মাত্র পথ। শহরের এত

মান দেয়ালের দিকে কচি আঙুল তুলে তিন বছরের ছেলে জিজ্ঞাসা

মন পবনের নাও নিকুঞ্জবিহারীবাবুর একটা গল্প ছাপা হয়েছে। সেও কোনো

বীতশোক চকিত উত্তেজনা ঘোরালো হয়ে উঠতে পারত। সুবেশা, চোখে ঘোর-লাগানোরমণীর।

নাগরী জানালার তলার পাট দুটো বন্ধ করে দিয়ে সেখানে বসে

ঝড় খুব বেশি দিনের কথা নয়। একদিনের মাত্র কয়েক ঘণ্টার

একজন মিসেস নন্দী মুখ না তুলেও ডক্টর বসু টের পেলেন