দেওয়াল ঘড়িতে আটকে আছে একটা পারিজাত
সময়টা আটকে আছে ব্ল্যাকবোর্ডে, আর শানবাঁধানো খেল্লাঘরে…
এসময়ে কেউ এলে অন্ধকার
এসময়ে কেউ না এলেও অন্ধকার
এসময়ে
কেউ আসা বা না আসা মানে
একটা ম্যাজিক্যাল শূন্য, মানে
গড়িয়ে আসা এক ঢাউস অন্ধকার
অর্থাৎ হাত জোড়া এক অন্ধকার শূন্যতা।
কোন এক ফুসমন্তর শূন্য এসেছিল আমার শূন্য হাতে
আমার হাতে বাসা বেঁধেছিল এক ভয়ঙ্কর মহামারী শূন্য
আমি এই শূন্যকে বলি, কৃষ্ণগহ্বর
মানে চরম অন্ধকার
প্রচণ্ড অভিকর্ষে নিঃশেষিত
সমস্ত জাগতিক আলো
আর আমাদের গোলাকার আমিত্ব।
আমি এই শূন্যে ডুবে যেতে যেতে
আমি এই শূন্যে ভাসমান হতে হতে
আমি
অন্ধকার এই শূন্যতার খেলায় মেতে
শেষ বাঁশির অপেক্ষায়। শেষমেষ
খেলা অমিমাংসিত, মানে গোলশূন্য খেলা যাকে বলে…
এসময়ে
কেউ এলে বা না এলে
অন্ধকার
শূন্য অন্ধকার
গোল অন্ধকার
গেরস্থের ধোঁয়াটে শূন্য বারান্দায়
শেষ বিকেলের মায়া। গাঢ় অন্ধকারে ঠ্যাং ভাঙা খুড়োর কল
‘জিঙ্গল বেল’ গাইতে গাইতে ছুটে চলেছে লজ্ঝড় বাতিওয়ালা
আর আমার
কষ্টার্জিত যৌথজীবনের ছেঁড়া লিগামেন্ট
সার্জারির অপেক্ষায়…