দীর্ঘ কয়েকশ বছর পরে আমি
ঘুরে দেখতে এলাম শ্মশাণটাকে
যেখানে আমার দেহটাকে রাখা হয়েছিল…
আজ শুধু বুনো ঘাস,লতাগুল্ম প্রভৃতিতে ভরা ,
নির্মম লোকগুলো
আমার সাড়া দেহ জ্বালিয়ে
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পুড়িয়েছিল, আমার গলে যাওয়া দেহটাকে দেখে
কত কথাই বলেছে কতজন কত হাসাহাসি হয়েছিল। আমার মাথাটা হয়েছিল ঠিক কুমড়োর মত
হাড়ের ঠুক-ঠাক আওয়াজ
মদের নেশাতে মাতাল হয়ে হাঁড়ুদা
একটি বাঁশ দিয়ে আমার মাথায়
প্রচন্ড আঘাত করেছিল–
সেই আঘাত আমি এখনও ভুলতে পারিনি।
সেই ব্যঙ্গরসনা ডানপিটে ছেলেগুলোর
আজো নাড়া দিয়ে ওঠে ;
উফ্ অসহ্য, দুর্ঘন্ধ… সেই গন্ধ শুঁকে
ছেলেগুলো আমার উপর ধূপকাঠি
রেখেছিল
সেইটিই ছিল বোধহয় একমাত্র সান্ত্বনা ।
আজ বহুদিন পরে সেই মানুষ জন্মের কথাগুলো
আমি আওড়াচ্ছি…
আমার যেন কত বয়স ছিল… কুড়ি না পঁচিশ
কেন আমি তাড়াতাড়ি মারা গিয়েছিলাম
ব্যাধি ছিল– বিরাট ব্যাধি…..অনাহার।
হায়রে বিধাতা বাঁচতে দাওনি আমাকে,
ভালোই হয়েছে এখন আমি সুখেই আছি..
এক দিগন্ত থেকে আরেক দিগন্তে
যুগ যুগ ধরে আমি একই ভাবে বেড়াচ্ছি,
আমার আর জন্ম নেই,নেই মৃত্যু
আছে শুধু কিছু ইতিহাস !