লোকসভা নির্বাচনের হালহকিকত
বেজে গেছে ভোটের দামামা। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই দেশ তথা রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নজরকাড়া প্রচার চলছে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে মোট সাত দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্তিম তথা শেষ দিন ধার্য হয়েছে ১ জুন। ফলাফল ৪ জুন। গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব হল নির্বাচন। তাই আয়োজনে কোনও খামতি নেই । ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য যে, ইউরোপের সব দেশের জনসংখ্যার থেকেও এবার ভারতের মোট ভোটারের সংখ্যা বেশি, প্রায় ৯৮ কোটি। যাকিনা সর্বোচ্চ। কিন্তু রাজনৈতিক দলের নজরকাড়া অনলাইন ও অফলাইনে প্রচারের খরচ কতো ? এক লাখ ২০ হাজার কোটি রুপি বা ১৪.৪ বিলিয়ন ডলার ! অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের এই ব্যয়বহুল হিসাব প্রক্ষেপণ করেছে সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ । বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারতবর্ষে মোট ২৬০০ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নিজস্ব প্রতীক রয়েছে। বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রে ব্যয়বহুল ভোটের আয়োজন নেহাতই সহজ নয় । এবার উত্তর হিমাচল প্রদেশে ১৫ হাজার ২৫৬ মিটার উঁচুতে একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকবে, যা কিনা বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ! গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩০৩ আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৩ টিতে। সেবার কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৫২ টি আসন। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম রাষ্ট্র শাসনের ভার কাদের হাতে থাকবে, সেটা আগামী ৪ জুন স্পষ্ট হবে। তবে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রায় ১৬ বছর ৯ মাস দেশ শাসন করেছিলেন এবং তাঁর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী ১৫ বছর ১১ মাস দেশ পরিচালনা করেছিলেন ।