কালীপ্রসন্ন সিংহ চলিত ভাষার পথপ্রদর্শক
হুতোম প্যাঁচা ছদ্মনামে বাংলা সাহিত্যে লেখা,
“হুতোমি ভাষা” বলেছিলেন বহু জ্ঞানী গুণী জন,
ব্যাঙ্গাত্মক রচনা বিকৃত রুচির ত্রুটিপূর্ণ দিক দেখা।
অনবদ্য সৃষ্টি মাঝে সাহিত্যিক বেঁচে আছেন
সাহিত্যিক অনুবাদক নাট্যকার সমাজ সংস্কার রূপে,
জন্ম ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৮৪০ সাল সিংহ পরিবারে,
জন্ম তারিখ নিয়ে আছে বিভ্রান্তি বলছি চুপে।
উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো জমিদার পরিবার
পিতা নন্দলাল সিংহ , মাতা ত্রৈলোক্য মোহিনী দেবী,
স্মৃতিশক্তি প্রখর বুদ্ধিমান সৃষ্টিশীল ব্যক্তি,
চোখে দেখে কানে শুনে রাখতেন মনে, এমন মেধাবী।
‘বিদ্যোৎসাহিনী সভা’প্রতিষ্ঠা,পত্রিকা প্রকাশ ১৮৫৫ সনে
পরের বছরে নাট্য অভিনয়ের জন্য রঙ্গমঞ্চ গড়েন,
১৮৬১ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্তকে গণসম্বর্ধনা দান
ফাদার রেভারেন্ড জেমস লঙকেও সংবর্ধিত করেন।
দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পন নাটকটি সাহেব প্রকাশ করেন
জরিমানা হাজার টাকা সাহেবের সিংহমশায় দিলেন,
বিধবা বিবাহ চালুর পক্ষে বিদ্যাসাগরের সাথে তিনি,
বাবু নাটক বিক্রমোর্বশী সাবিত্রী সত্যবান রচনা করেন।
সংস্কৃত ভাষায় রচিত মহাভারতের বাংলায় অনুবাদ,
সারবত্তা প্রকাশিকা, বিভিদার্থ সংগ্রহ পত্রিকা প্রকাশ,
পরিদর্শক বাংলা পত্রিকা সম্পাদনা ছিল অপর কীর্তি,
বেণীসংহার বিক্রমোর্বশী নাটকে অভিনয় ছিল বিকাশ।
দাতব্য চিকিৎসালয় অবৈতনিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা
দুঃস্থ ছাত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপুড় হস্তে অর্থ দান,
ম্যাজিস্ট্রেট ও জাস্টিস অফ দ্য পিস পদে আসীন
ব্রিটিশ সরকারের থেকে পান এই মান সম্মান।