পলাশের রক্তিমে চঞ্চল মন
পিয়াল পারুল আর কাঞ্চন বন ।
কৃষ্ণচূড়ার রঙে উথাল পাতাল
সুবাসে দোলন চাঁপা হৃদয় মাতাল ।
দুয়ারে বসন্ত বরণের লাগি
দিবসে দখিন হাওয়া নিশীথেও জাগি ।
ফাল্গুনী পূর্ণিমা উদাসিনী রাত
সোহাগী ঝুমকোলতা জোছনায় মাত ।
রজনীগন্ধা সাথে মল্লিকা ফুল
কুন্দের গন্ধে গম্ভীর ভুল ।
বেদনা আভাস মাখা পাতাঝরা গান
প্রেমময় চিত্ত পুলকিত প্রাণ ।
কম্পিত ছন্দে ঝংকৃত সুর
বংশীর ধ্বনি যেন অতি সুমধুর ।
আম্র মুকুল বাগে মৌমাছি ধায়
নদী জলে ঢেউ ওঠে সমীরণ বায় ।
শাখে শাখে কিশলয়স্পন্দন সুখ
বসন্ত এসে গেছে সবে উন্মুখ ।
মিলনের সৌরভ হিল্লোল তোলে
জীর্ণতা মলিনতা যত কিছু ভোলে ।
খেয়া তরী ঘাট ছেড়ে নদীজলে ভাসে
অশ্রু আঁখির কোণে তবু মিঠে হাসে ।
ভ্রমরের গুঞ্জন ধীরে ধীরে কমে
বিদায়ে বসন্ত শূন্যতা নামে ।