আমরা তোমার কাছে কখনো নবীন হব কখনো প্রাচীন।
যত তুমি দূরে ঠেলো, যত তুমি মুছে ফেলো
কিছুতেই হারবো না, কিছুতেই ছাড়বো না,
শুধু তুমি দেখে নিও, কত খানি আমরাই হয়েছি স্বাধীন।
শেখানো বুলির কথা , যা কিছু ভেবেছি সদা,
সব যেন কবেকার , কত পরাধীন !
আসি ,আসি, আসি করে ,সরে ছিলে বহুদূরে ,
সে যেন গো কবেকার, বিরহ প্রাচীন।
সত্যি করে বলো শুনি, আজও তুমি কতখানি হয়েছ স্বাধীন।
আবার এসেছো যবে, মনে ভাবি দেখা হবে,
কী কথা বলেছি তবে, সংকল্পের মতো,
ওরা ছেড়ে গেছে দেশ, রেখে গেছে হিংসা দ্বেষ,
একরাশ দুশ্চিন্তার মতো।
কে আর ভেবেছে কবে, নেতাজী না দেখা দেবে,
দেশ ভক্ত মাতৃকার সুপুত্রেরা যতো।
যারা ভাগ মেনে নিলে, ক্ষমতাটা পাবে বলে,
সর্বনাশ করে দিলে জনমের মতো।
শুধু ক্ষমতার লোভে, পা দুখানি চেটে নিলে, বিদেশী প্রভুর!
ওরা যে ছড়াল বিষ, জাতি ধর্ম অহর্নিশ, দুঃস্বপ্নের মতো।
ছড়াল গভীর ক্ষতে, জাতি দাঙ্গা সেঁকো বিষে,
ভাই ভাই মিলমিশ করে দিল দূর।
হল সে শুধুই তাই, দুর্ভাগ্য তাড়িত ভাই,
দ্বিখন্ডিতা মাতা তাই, নীরবেই অশ্রু মোছে আজও অবিরত।
বিদেশীরা চলে যেতো, ঠিক সারমেয় মতো ,
বিশ্বজুড়ে ধুঁকছিল, পরাজিত সৈনিকের মতো।
তর সইলোনা কারো, পা দুখানি চেটে নিলো, কুলাঙ্গার যতো।
পরাধীন মাতৃকার, শৃঙ্খল ঘোচাবার,
যত অঙ্গীকার করেছিল সেদিনের দেশপ্রাণ যতো।
কারা যেন ক্ষীর খেয়ে, সরে পড়েছিল দূরে,
এখনো তারাই লোটে ,এ দেশের সম্পদ যতো।
পুড়েছে কপাল শুধু দেশভক্ত যারা ছিলো বাঙালির মতো।
স্বাধীনতা চড়াদাম চোকালো যারা
তারা হলো ভ্রাতৃ হারা, এমনকি দেশছাড়া,
বাঙালিকে চিরপঙ্গু করে দিলো জনমের মতো।
লুন্ঠিত হয়ে যায় ধন-মান-প্রাণ,
গুণগার দিলো কতো শত মহীয়ান, কত সুসন্তান।
সব থেকে বেশী করে লড়বার ফল,
লুট পাট করেছিল দালালের দল।
বাংলা ও পাঞ্জাব দু প্রদেশ ভাগ করে, হাতে মেরে ভাতে মেরে,
লুটে নিয়েছিল সব স্বাধীনতা ফল।
এখনো গজিয়ে ওঠে মেকী দেশ প্রেমিকের দল
স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা দালালিই করেছে কেবল।
ইতিহাস কি বলেছে, ইতিহাস কি লিখেছে,
সবকিছু মুছে দিতে চায় যত আহাম্মক দল।
কারা ছিল গদ্দার, কারা ছিল সত্যকার ,সংগ্রামী প্রবল।
সব কিছু লিখে রাখে কাল—
কাল যাহা ঘটেছিল, আজ ইতিহাস হল,
ফাঁকি বাজি ধরা পড়ে , আজ নয় কাল।
বুঝে কেউ বুঝলো না, দেখে কেউ দেখলো না,
শুধু ক্ষমতার লোভে করে কোলাহল।
কি ভাবে স্বাধীন হলে, দেশ ভাগ মেনে নিলে,
উত্তর মেলে নাকো আজও—
বিভেদের বিষ মেখে, হানা হানি দেখে দেখে,
প্রাণ আজ হয়েছে বিকল।
হে আমার দেশবাসী, হে আমার পরম সুহৃদ,
বিষবাষ্পে করো নাকো স্নান,
দেখো ওই প্রভাত সূর্য অম্লান।
হে প্রদীপ্ত যৌবন, হে তরুণ দল,
জেগে ওঠো আরবার, সব অপমান ভার,
মুছে দাও দেশমাতৃকার।
নবীন প্রভাত আনো, প্রজাতন্ত্র স্মরনীয়, বরণীয় গান গাও এ দেশ মাতার।
জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম।।