আমার কোমরে আমি পুষতাম শখের কলস
কেউ জানেনা, মাঠে খড় নাড়া যখোন পোড়ায়
শস্য-শেষে, আমার আত্মায় কেন জন্মেছে উদ্ভিদ!
কিন্তু আজ কোমরে করাতকল,–আমি শুধু আমাকেই কাটি!
তোমরা আমাকে দিলে কঠিন কল্লোল, তামা লোহা ও পিতল!
কিছু রেয়নের সুতো, আর এই ম্লান জুতো, আর বেঁতো ঘোড়!
সুগন্ধী মানুষ নেই, মরে গেছে উদ্যানের খোঁপা!
নষ্ট হয়ে গেছো তুমি,–তুমিও কি হে গভীর বিদ্রোহের চাকা?
আমাকে ধারণ করে ধর্মহীন আজ ঐ দুর্মুখ জনতা!
সান্ত্বনা ফুলের নামে লৌহশলাকার শীষে ওরা
আমাকে বিদ্ধ করে শিশু নই, যীশু নই তবু
আমাকে ভোলায় আজ কৃত্রিম খেলনা, পশু খড় ও গর্দভ!
আমার এ বুকে আমি পুষতাম বকুল বাউল,
চেঁকিতে হেঁটেছি রৌদ্র, সহজিয়া ভোর আর কতনা সুন্দর
পাথরে পুষ্পিত নাচ চোখে নিয়ে দৃষ্টিতে দারুণ,
দেখেছি কি করে ফলে ভালোবাসা, স্নেহ প্রেম পাখির কুজন।
কিন্তু আজ আমাকে তোমরা দিলে নিয়ন্ত্রণ, কাঠের পুতুল
জীবিত বাকলে ঢাকা মরা সব মলিন সেগুন!
যদি যেতে চাই, তবে বাঁকা করে লোহার দেয়াল
আমাকে ঢোকাও আরো খর লৌহে লাশের জগতে!
গোলাপ এখানে লাশ, মানুষের লাশ,
কুকুর এখানে আজ হতে চায় কোমল হরিণ!
তাকাও এদিকে ক্ষত ঐ দিকে খুন, তুমি তাকাও–সময়
যেখানে মমতা নেই, মনীষার ছায়া নেই–আমার গমন!