ভগবানের কাছে প্রশ্ন শিশুর,
আমরা কেন গরিব, যত ফুটপাতের বাসিন্দা।
তোমার ছত্রছায়ায়, আকাশ আমার ছাদ
ঠাণ্ডায় কাঁপছি, মায়ের ওমটুকু মাখি
কেন ভেদাভেদ প্রভু, দাও গো বলে।
নারায়ণের কাছে পৌঁছায় আবেদন
নারদ মুনির ডাক পড়ল, দেখো একবার,
সোজা মর্ত্যে নেমে ঢুকে পড়ে এক্কেবারে,
এন জি ও দের অফিসে, ব্যাপার দেখে চোখে
ডেকচি ডেকচি খাবার নিয়ে চলেছে পথে।
শিশুদের খাবার, মাথার ছাদ নিয়ে হাজির
পলিথিনে মোড়া অস্থায়ী ঘর বানিয়ে দিল,
নতুন জামা নতুন প্যান্ট শীতের বস্ত্র যত পেয়ে
খুশির চোটে নাচছে দেখো ডম ডম ডিগা গেয়ে ।
উহু সব তো হোলো, পড়ার দিদিমনি কই
আসে মহিলা, চোখে চশমা খাতা পেন্সিল নিয়ে।
ধরিয়ে হাতে, জিজ্ঞেস করে পড়বি রে তোরা
জুটে গেল অনেক শিশু একসাথে সবাই।
সান্ধ্য স্কুল খোলা হলো, চলল বর্ণ পরিচয়
ধারাপাতের নামতা গোনা দুলে দুলে পড়া।
পেন্নাম ঠুকি তোমায় ঠাকুর, হাসি ফোটালে
করলে উদ্ধার, মুখ্খু থাকবে না কেউ আর।
হরির লুটের বাতাসা দেবো বেশি করে
সাথে দেবো সিন্নি, শনিঠাকুরের।
বলা যায় না, চোখ পড়লে যাবে সুখ উড়ে।
তুমি ঠাকুর দয়াল ঠাকুর আশিস রেখো ধরে।