মাঝে এসে বসে থাকি,সেও হয়তো এসে বসে ছিল
হয়তো পায় নি ডেকে, একা ঘরে জানালার কাঁচে
শ্রাবনের বারিধারায় হয়তো ভুলে গেছে প্রার্থিব সময়।
স্মরণীর পথ বেয়ে জীবনের দারিদ্র সীমার জাল-
তুলে আনে রিক্ত মনের কঙ্কাল।
জোড়া দিতে পারবে না অতীতের কথারা
যদি দেয়, ক্লিশ মুখে ভালোবাসার প্রলেপে
সেই ধূর্ত মাছটাকে আজও চেনেনি আন্তর্জাল।
পারবে না, পারবে না ডাঙায় ওঠাতে বিভ্রান্ত সকাল ।
যে -অঙ্গুরি পড়িয়েছিলো বহু স্বপ্ন-মগন
ফিরবে কী কখনো, পারবে কী ফিরতে সে সময় আলয়ে?
যদি পায়- যদি তার এত কাল পরে মনে হবে –
ধূলি ধূসরিত দীর্ণ মানচিত্র।
এ ধরণীর ছুটি শেষ । স্মরণী ভিজে, ভিজে
লাল শূণ্য পথ। হয়তো শুকোবে শান্তিনিকেতনের খোয়াই, ভিজে ঘাস ।
আম্রকুঞ্জে স্বেতবসনের কবিতার ক্লাশ শুরু হবে হয়তো
ঘুমে ফোলা চোখ, গম্ভীর গলায় –
সেই কবে গুরু মন্থর পায়ে পাতা-ঝরা ছাতিমতলায় এসে ঘুরে গেছে
ঘন্টা শুনে, শুনে হঠাৎ কখন দিনগুলো শেষ হয়ে গেলো।
ছায়াঘন সে মায়াবিতান, রেখে গেছে তার অবয়ব
ঐতো দাঁড়িয়ে একগলা ভাস্কর্যে রামকিংঙ্কর।
স্মৃতিগুলো ঘেঁটে, ঘেঁটে, আগাছা ছেঁটে, ছেঁটে
মায়ার অঙ্গন আমাদের শান্তিনিকেতন।