অতি সংগোপনে হন্যে হয়ে খুঁজে চলা অবিরাম
ইচ্ছের সোপান বেয়ে বেয়ে,
আকুল অদম্য তিয়াসে সন্ধানী মননে,
মন- যমুনায় স্রোতস্বিনী ঢেউয়ে শব্দেরা ডুব সাঁতারে মগ্ন সুখে,
আমিও অনুসন্ধিৎসু চোখ মেলে আতিপাতি খুঁজে ফিরি কবিতার শব্দ,
নিটোল নিখুঁত কিছু মনি মুক্তো সম শব্দ,যা দিয়ে গড়ে তুলবো কবিতার নিপুণ অবয়ব।
রহস্যময়ী ললিত লাবণ্যে ভরা শব্দেরা কিছুতেই ধরা দিচ্ছেনা,
কখনো শব্দেরা মেঘের মত ভেসে বেড়াচ্ছে,
কখন বা দ্রিমি দ্রিমি বাজনার তালের মত হেলছে,দুলছে কি অদ্ভুত কান্ড!
আবার কখনো, বিলক্ষণ টের পাচ্ছি বুকের খাঁজে খন্দে,হৃদয় অলিন্দে ওরা চুপিসারে বর্ণিল সুষমায় সারিবদ্ধ কবিতা হয়ে সেজে আছে!
আমার মানসী কবিতার মতো শরীরী অবয়ব নিয়ে,
কিছুতেই চোখ ফেরাতেই পারছিনা,
শব্দের অথৈ পারাপারে ডুবে যেতে ইচ্ছে করছে,
শব্দেরা নৃত্যের তালে দুলছে যেন!
আমার বুকে আনন্দের শিহরণ!
কাতর তৃষিত চোখে কৃপা লাভের আর্তিতে অপলক বিমুগ্ধ দৃষ্টি।
মধুময়ী শব্দেরা যেন হাসছে লীলায়িত ছন্দে, আমি বুঁদ হয়ে দেখতেই থাকি অনুভবের আঙিনায়,
টের পাই,শব্দেরা নাইতে নেমেছে শব্দের স্রোতে,
শব্দেরা পরপর জুড়ে গিয়ে কবিতাও হয়ে উঠছে
ছড়া ,গান হয়ে উঠছে,কখনো বা বিরহিনী প্রেয়সীর বিরহের কাব্য রচনা করছে,
আমি ব্যাকুল উৎসাহে হাত বাড়াই –
কিছু অমূল্য কবিতার শব্দকে ছুঁয়ে দেবার দুর্ণিবার পিপাসায়–