বউমা তোমায় দেব গয়না
দেব গাড়ি বাড়ি ,
সুখের ভাঁড়ার আর হেঁসেল
কেমনে তোমায় ছাড়ি।
ঘরের লক্ষ্মী তুমি আমার
এইতো সেদিন এলে,
সেজেগুজে বেড়াও দুজন ঘুরে
খুশির পাখা মেলে।
পাড়া পড়শী কুটুম জনের
নিত্য যাওয়া আসা,
চা খাবারটা দিও তাঁদের
সেটাই হবে খাসা।
হেঁসেল ঘরে যাবে পরে
সময় যখন হবে,
তোমার হাতেই ছাড়বো যে ভার
এখন কেন তবে?
হেঁসেল ঘরটা মন্দির সমান
আমার কাছে জেনো,
সবার তরে রান্না করে
শান্তিটা পাই মেনো।
রন্ধন শিল্পের নানা রীতি
লাগে ভীষণ ভালো ,
খায় যে সবাই পেটটা ভরে
মুখে মেখে আলো।
নিত্য নতুন রেসিপিতে
আমার মনটা থাকে,
আয়েস করে সবাই খেলে
তৃপ্তি ছোঁয়া মাখে।
বিস্কুটের চপ ডিমের হালুয়া
মুখরোচক খুব,
সাঁঝের বেলা জলখাবারে
থাকতো খুশির রূপ।
রান্নাঘরে চাই ঝকঝকে সব
মেনে স্বাস্থ্য নীতি,
হাসিখুশি থাকবে সবাই
মেখে প্রেম ও প্রীতি ।
তুমি আমার ঘরের লক্ষ্মী
শিখবে সবটা ধীরে,
আমার পরে রান্নাঘরে
দায়িত্ব ভার ঘিরে।