দুই বোন
নীরা মিঠি দুই বোন। তাদের
বাবা মুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতো।
এখন বৃদ্ধ হয়েছে, ঘুরে ঘুরে ফেরি করতে পারনা।
অভাবের সংসারে নীরা খুব কষ্টে গ্ৰেজুয়েশন করে এখন একটা কাপড়ের দোকানে কাজ করে আর কয়েকটা বড়ি টিউশন করে সংসারের হাল ধরেছে। কলেজে পড়াকালীন নীরার বন্ধু সমীর নানাভাবে বই, নোট দিয়ে সাহায্য করতো। কলেজ পাস করির পড়েও নীরাদের বাড়িতে সমীর মাঝে মাঝেই আসে। সচ্ছল পরিবারের ছেলে। নীরাকে ভালোবাসে সে কথাও জানায়।গরিব তাই নীরা সঙ্কোচ করে , মনের ভালোলাগা বলতে পারেনা।শুধু বোনকে জানায় ভালোলাগার কথা।
মিঠি সমীরের সঙ্গে ভাব জমিয়ে ভালোই মেলামেশা করে। অঙ্ক শিখানোর আবদার করে সমীরের ঘনিষ্ঠ হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
নীরার চোখে বিষয়টা পড়েনি তা নয়। নীরার বিশ্বাস বোন যখন জানে, তার ভালোবাসার কথা নইশ্চয় সমীরকে জানাবে। তাই দুজনের এমন মেলামেশায় বিরূপ ভাব আনেনি।
মিঠির পড়াশোনা, সংসারের যাবতীয় খরচ চালাতে নীরা সকাল সন্ধ্যআ পরিশ্রম করে। সমীরের সঙ্গে একটুও কথা বলার অবসর পায়না।
একদিন সন্ধ্যাবেলায় কাজ থেকে ফিরবার পথে দেখে পাশের পার্কে সমীরের কাঁধে মাথা রেখে ঘনিষ্ঠভাবে মিঠি বসে আছে। নীরা অবাক হয়।সেকি বোন তাহলে — !
ঘরে এসে মা’কে জানায়। মা বলে, হ্যাঁ ওদের দুজনের ভালোবাসা আছে। শীঘ্রই যাবো সমীরের বাবা- মা’র সঙ্গে কথা বলতে। সমীর মত দিয়েছে, ও মিঠিকে বিয়ে করবে। শুনে নীরা হতবাক। মনে ভাবে, মিঠি তো জানতো সমীরকে আমি ভালোবাসি। এমনটা করতে পারলো!
নীরা নীরবে মনের কষ্টে ওদের থেকে দূরত্ব বাড়াতে লাগলো।